স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মো: মানিক শেখ। বুধবার(২ ফেব্রুয়ারি) খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো: আল আমিন আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
মানিক নগরীর সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মল্লিক সড়কের জনৈক নুরুল আলম শেখের ছেলে। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো: গোলাম মোস্তফা জানান, গত ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল ফকিরহাট উপজেলার শুভদিয়া গ্রামের জনৈক মো: মোজাফ্ফর মোল্লার মেয়ে হাসিনা খাতুনের সাথে বিয়ে হয় মানিকের। আসামির আগের দু’টি বিয়ের বিষয়ে জানতেন না হাসিনা। গোয়ালখালী মেইন রোডের জনৈক রবিউল আওয়ালের টিনসেডের ভাড়াবাড়িতে বসবাস করতেন হাসিনা-মানিক দম্পতি।
১৮ জানুয়ারি দুপুরের দিকে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাসিনা মানিককে ধাক্কা দেয়। এরপর ঘরের ব্যবহৃত বটি দিয়ে মানিককে হত্যা করতে যায় হাসিনা। হামলা থেকে রক্ষা পেয়ে মানিক প্রথমে হাসিনার গলা চেপে ধরে এরপর বালিশ মুখে চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত মুখে বালিশ চেপে রাখে ঘাতক স্বামী। মৃত্যুর পর মানিক বিকেল পাঁচটার দিকে ইজিবাইক চালিয়ে বাড়ি থেকে বাইরে চলে যায়।
প্রতিবেশীরা পরের দিন হাসিনার সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজার হ্যাজবোল্ড খুলে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে তাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে বাড়ির মালিককে খবর দেয়। বাড়ি মালিক থানায় খবর দিলে পুলিশ হাসিনার নিথর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
পরে নিহতের বাবা থানায় মানিকের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করে। গত ১২ দিন আসামিকে ধরার জন্য হন্যে হয়ে তাকে খুঁজেছে পুলিশ। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১২ টার দিকে তাকে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যাকান্ডের কারণ ব্যাখ্যা করে স্বীকারোক্তি দিতে চাইলে দুপুরে তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। গ্রেপ্তার মানিকের বিরুদ্ধে নারী পাচারের অভিযোগে কয়েকটি মামলা আছে বলে যোগ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/ এস আই