পৌষ মাষের শুরুতেই তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে ডুমুরিয়ায় বীজতলা নষ্ট হচ্ছে। এভাবে একের পর এক বীজতলা নষ্ট হওয়ায় কৃষক হতাশার মধ্যে পড়েছে। একদিকে জনজীবন বিপর্যস্থ অন্যদিকে বৈরী আবহাওয়া আর তীব্র শীতের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে ইরি-বোরো ধানের আবাদ। এছাড়া এ মাসে কয়েকটি শৈত্যপ্রবাহে রৌদ্র না থাকার কারণেও বীজতলা নষ্ট হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানা যায়, এ মৌসুমে উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য প্রায় ৭০হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করেছে কৃষক। কিন্তু কয়েক দিনের তীব্র শীত আর অব্যাহত ঘন কুয়াশায় ডুমুরিয়ায় সাড়ে ৩হাজার হেক্টর উফশি ও ৫হাজার হেক্টর জমিতে হাইব্রিডসহ প্রায় ৭০হেক্টর জমির ইরি বোরো ধানের বীজতলার অধিকাংশই লালচে হলুদ হয়ে গেছে। লালচে হওয়ার পর আস্তে আস্তে পাতার আগা শুকিয়ে যাচ্ছে। অল্প দিনের মধ্যে পাতা গুলো মরে যাচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, কোথাও কোথাও বীজতলায় ইরি বোরো ধানের চারাগুলে ইতিমধ্যে নষ্ট হয়ে রোপণের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। উপজেলার টিপনা, চুকনগর, চাকুন্দিয়া, মালতিয়া এলাকার একটি বোরো বীজতলায় গিয়ে দেখা যায় সেখানকার বেশির ভাগ চারা হলুদ হয়ে গেছে। এ বীজতলার চারা এখন রোপণের অযোগ্য হয়ে গেছে।
চুকনগর গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম হোসেন ও রেজাউল করিম বলেন, এক সপ্তাহ আগে যে পাতা কালো ছিল। তা বৈরি আবহাওয়া, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে মরে যাচ্ছে। এ কারনে এবার কৃষক সময়মত ধানের চারা বীজতলা থেকে তুলে জমিতে রোপণ করতে পারবে না। এমনকি ধানের পাতার সংকট দেখা যাবে বলে তিনি আশঙ্কা করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, বীজতলা নষ্ট হওয়ার মূল কারণ তীব্র শীত। এজন্য রাতের বেলায় বীজতলায় পানি রাখতে হবে এবং দিনের বেলায় পানিটা সরিয়ে ফেলতে হবে। তাহলে এটি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এসব বোরো ধানের বীজতলা রক্ষার জন্য ইউরিয়া ও জিপসাম সার প্রয়োগের পাশাপাশি প্রতিদিন বীজতলার কুয়াশা ঝেড়ে দিতে হবে। চারা গুলোকে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখারও পরামর্শ দেন তিনি।
খুলনা গেজেট/ এস আই