প্রায় সপ্তাহখানেকের টানা তাপপ্রবাহে লোহাগড়ার জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দিনে যাদের কাজ ঘরের বাইরে, তাদের যেন একবারেই জবুথবু অবস্থা। তাপপ্রবাহের কারণে তাদের আয়-উপার্জনেও পড়েছে ভাটা। প্রখর রৌদ্রতাপে এখানকার জনজীবন অতিষ্ঠ।
প্রচন্ড তাপদাহে পুড়ছে এ অঞ্চলের মানুষ। অন্য বছরগুলোতে যদিও মাঝে মধ্যে সামান্য বৃষ্টি ও বৈশাখী ঝড়ের দেখা মেলে। এবার এখনও তেমন ঝড়-বৃষ্টির দেখা মেলেনি। ফলে অসহনীয় হয়ে উঠেছে তাপমাত্রা।
দেশে টানা কয়েকদিন যাবৎ চলা অসহনীয় তাপপ্রবাহের মধ্যে নববর্ষের প্রথম দিনে আরও অধিক তেজ দেখেছে সূর্য। যদিও চলতি মৌসুমের উষ্ণতম দিন ছিল সোমবার (১৭ এপ্রিল)। এদিন পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তবে দিবাগত রাতে সামান্য বাতাস যেন এই তাপপ্রবাহকে কিছুটা হলেও শক্তিহীন করেছে।
মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও সেই সাথে বেড়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। একে গরম তার ওপর বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ জনজীবন। তবে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, আগামী বৃহস্পতিবার নাগাদ লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে আসতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, আগামী কয়েক দিনে গরমের এই দশা থেকে মিলবে না মুক্তি। তাপদাহের এই সময়ে খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাপদাহে বেশি কষ্টে আছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর, ভ্যানচালক ও কৃষকরা। তীব্র তাপে ঝরে পড়ছে আম-লিচুর মুকুল।
এছাড়াও কয়েকদিনের টানা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে শিশু-কিশোররা খুঁজে বেড়াচ্ছেন নদী-নালা, খাল-বিল ও ডোবার পানি। স্থানীয় বাজার ও ফুটপাতে বেড়েছে ঠান্ডা পানি ও শরবতের চাহিদা। তীব্র গরম থেকে স্বস্তি পেতে রসালো ফল বাঙ্গী, তরমুজ, মাল্টা, কমলালেবু, আনার কিনছে গরমে অতিষ্ঠ মানুষজন। সবকিছু মিলে অসহনীয় গরমে আসলেই অতিষ্ঠ লোহাগড়ার জনজীবন।
খুলনা গেজেট/এনএম