পৌষের শেষভাগে এসে শীত যেন হঠাৎ উধাও হয়েছিল। দিনে সূর্যের তাপ গ্রীষ্মের আবহ নিয়ে এসেছিল। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বুধবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে খুলনায় আবারও তাপমাত্রা কমে দেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আসতে শুরু করেছে। এর আগে এ অঞ্চলে গত কয়েকদিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করে।
খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরমধ্যে গতকাল মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার পূর্বাভাষে বলা হয়েছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার খুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৪ ডিগ্রি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার খুলনাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পৌষের শীতে গত রোববার সন্ধ্যায় তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বুধবার (৬ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন ১৫ ও সর্বোচ্চ ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এছাড়া খুলনাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমে শৈত্যপ্রবাহে পরিণত হবে। যা তিন থেকে চার দিন স্থায়ী থাকতে পারে।
এদিকে গত এক সপ্তাহ খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে আরব সাগর থেকে আসা জলীয় বাস্পপূর্ণ উষ্ণ বায়ুকে চিহ্নিত করেছেন আবহাওয়াবিদরা।
খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ সন্ধ্যায় খুলনা গেজেটকে বলেন, ‘খুলনাঞ্চলে আবারও তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। শীতের তীব্রতা বেড়ে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। আগামীকাল থেকে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি করে তাপমাত্রা কমে চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ বুধবার মধ্যরাত থেকে তাপমাত্রা কমে গিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হালকা বাতাস বইতে শুরু করেছে। এর ফলে শীতের প্রকোপ বাড়ছে। এ সময় সন্ধ্যা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা থাকবে। আগামী শুক্রবারের পর থেকে শীত আরও জেঁকে বসতে পারে। এমনকি তা শৈত্যপ্রবাহের পর্যায়েও যেতে পারে।’
খুলনা গেজেট / এআর