গত কয়েকদিন ধরে সারা দেশে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আরো ৭২ ঘণ্টা বা ৩ দিন ধরে এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে ২য় বারের মত হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল থেকে তীব্র তাপদাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রথম বারের মতো তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলো।
এ দিকে তীব্র তাপদাহে সারা দেশের ন্যায় খুলনাঞ্চলেও অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে। খুলনাসহ এর পার্শ্ববর্তী জেলা সমূহে তাপদাহের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রচন্ড তাপদাহে কোথাও কোথাও সড়কের পিচ গলে যাচ্ছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) খুলনাঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। শনিবার (২৭ এপ্রিল) ও খুলনাঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। খুলনায় বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২০ এপ্রিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস সূত্র জানা যায়, তীব্র তাপদাহ আরো কিছুদিন অব্যাহত থাকবে।
এদিকে তীব্র তাপদাহের মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর ২য় বারের মতো আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) থেকে সারাদেশে ৭২ ঘন্টা হিট অ্যালার্ট জারি করলেও সরকার স্কুল কলেজ খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে । নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সকাল ৮ টা থেকে ক্লাস শুরু হয়ে চলবে বেলা সাড়ে ১১ পর্যন্ত। মন্ত্রণালয় থেকে ক্লাস চালুর সময় সূচি নির্ধারণ না করে দেওয়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোর কোন কোন স্কুল সকাল ৭/৮ থেকে ক্লাস চালু করলেও অনেক স্কুল সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নেয় প্রচন্ড তাপদাহে ৬ ঘন্টা কিভাবে তাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে থাকবে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে অভিভাবকরা।
মোঃ মশিউর রহমান নামে এক অভিভাবক বলেন, তীব্র গরমে বাচ্চারা কিভাবে ক্লাস করবে? আরো কিছুদিন ছুটি থাকলে ভালো হতো। শারমিন সুলতানা তানিয়া নামে এক অভিভাবক বলেন, প্রচন্ড গরমে স্কুলে আসলে বাচ্চা এবং ছেলেমেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়বে। আরো কিছুদিন স্কুল বন্ধ থাকলে ভালো হতো।
মেয়েকে স্কুলে দিয়ে গভঃ ল্যাবরেটরী হাই স্কুলের সামনে ইজিবাইকের জন্য অপেক্ষমান হীরা খাতুন বলেন , আমার মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। এই প্রচন্ড তাপদাহে ১০ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত ৬ঘন্টা কিভাবে ক্লাস করবে? স্কুল কর্তৃপক্ষের উচিত সকাল ৭ টা ক্লাস নেওয়া। তা নাহলে স্কুল বন্ধ রাখা উচিৎ । মশিউর রহমান, তানিয়া, হীরা খাতুনের মতো অধিকাংশ অভিভাবক এই প্রচন্ড তাপদাহে প্রচন্ড তাপদাহে স্কুল খোলা রাখায় উদ্বিগ্ন তাদের মন্তব্য আরো কিছুদিন স্কুল বন্ধ রাখলে ভালো হতো।
এদিকে প্রচন্ড তাপের কারণে বিদ্যালয় গুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিও কম লক্ষ্য করা গেছে। দৌলতপুর মুহসিন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম জোয়াদ্দার বলেন, ঈদের ছুটি এবং গরমের কারণে দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয় খুলেলেও তাপদাহের কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি কম। উপস্থিতির সংখ্যা ২০ থেকে ২৫ শতাংশ হবে।
দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ ফরহাদ হোসেন বলেন, ঈদের ছুটির পর আজ প্রথম দিন আমরা দুই শিফটে পরীক্ষামূলকভাবে ক্লাস শুরু করেছি। প্রথম শিফট সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে সোয়া ১০ টা পর্যন্ত। এবং এবং দ্বিতীয় শিফট সোয়া ১০ টা থেকে সোয়া ১ টা পর্যন্ত। তিনি বলেন, প্রথম দিনে উপস্থিতি সন্তোষজনক। প্রায় ৮০ শতাংশ।
একই উপজেলার দিঘলিয়া (দঃ)সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আজ সকাল ৮ থেকে বেলা সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত ক্লাস চালু ছিলো। উপস্থিতি ৫০ শতাংশের উপরে। খান জাহান আলী থানার খানাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ রাশিদা আক্তার বলেন, ২ শিফটে আমরা ক্লাস নিয়েছি। প্রথম শিফট সকাল ৮ টা থেকে সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত আর দ্বিতীয় শিফট সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে মোট ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ১১৬ জন। আজ উপস্থিতি ৫০ শতাংশের উপরে।
গত কয়েকদিন ধরে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আরো ৭২ ঘণ্টা বা ৩ দিন ধরে এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে ২য় বারের মত হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল থেকে তীব্র তাপদাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রথম বারের মতো তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করে।
এদিকে ২য় বারের মতো আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) থেকে ৭২ ঘন্টা হিট অ্যালার্ট জারি করলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল কলেজ খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে । নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সকাল ৮ টা থেকে ক্লাস শুরু হয়ে চলবে বেলা সাড়ে ১১ পর্যন্ত। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোও খোলা রাখা নির্দেশনা দিয়েছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোর ক্লাস চালুর সময় নির্ধারণ করে না দেওয়ায় কোন কোন বিদ্যালয় সকাল সাড়ে ৭ টা, ৮টা থেকে ক্লাস শুরু করলেও অনেক বিদ্যালয় সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ক্লাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রচন্ড তাপদাহে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ৬ ঘন্টা কিভাবে তাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে থাকবে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে অভিভাবকরা।
মোঃ মশিউর রহমান নামে এক অভিভাবক বলেন, তীব্র গরমে বাচ্চাটা কিভাবে ক্লাস করবে? আরো কিছুদিন ছুটি থাকলে ভালো হতো। শারমিন সুলতানা তানিয়া নামে এক অভিভাবক বলেন, প্রচন্ড গরমে স্কুলে আসলে বাচ্চা এবং ছেলেমেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়বে। আরো কিছুদিন স্কুল বন্ধ থাকলে ভালো হতো।
মেয়েকে স্কুলে দিয়ে গভঃ ল্যাবরেটরী হাই স্কুলের সামনে অপেক্ষমান হীরা খাতুন বলেন , আমার মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। এই প্রচন্ড তাপগাহে ১০ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত ৬ঘন্টা কিভাবে ক্লাস করবে? স্কুল কর্তৃপক্ষের উচিত মর্নিং শিফটে ক্লাস নেওয়া। তা নাহলে ক্লাস বন্ধ করে দেওয়া উচিত। মশিউর রহমান, তানিয়া, হীরা খাতুনের মতো অধিকাংশ অভিভাবকদের মন্তব্য প্রচন্ড তাপ দাহে আরো কিছুদিন স্কুল বন্ধ রাখলে ভালো হতো।
এদিকে প্রচন্ড তাপের কারণে বিদ্যালয় গুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিও কম লক্ষ্য করা গেছে। দৌলতপুর মুহসিন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম জোয়াদ্দার বলেন, ঈদের ছুটি এবং গরমের কারণে দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয় খুলেলেও তাপদাহের কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি কম। উপস্থিতির সংখ্যা ২০ থেকে ২৫ শতাংশ হবে।
দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ ফরহাদ হোসেন বলেন, ঈদের ছুটির পর আজ প্রথম দিন আমরা দুই শিফটে পরীক্ষামূলকভাবে ক্লাস শুরু করেছি। প্রথম শিফট সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে সোয়া ১০ টা পর্যন্ত। এবং এবং দ্বিতীয় শিফট সোয়া ১০ টা থেকে সোয়া ১ টা পর্যন্ত। তিনি বলেন, প্রথম দিনে উপস্থিতি সন্তোষজনক। প্রায় ৮০ শতাংশ।
একই উপজেলার দিঘলিয়া (দঃ)সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আজ সকাল ৮ থেকে বেলা সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত ক্লাস চালু ছিলো। উপস্থিতি ৫০ শতাংশের উপরে।
খান জাহান আলী থানার খানাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ রাশিদা আক্তার বলেন , ২ শিফটে আমরা ক্লাস নিয়েছি।। প্রথম শিফট সকাল ৮ টা থেকে সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত আর দ্বিতীয় শিফট সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে মোট ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ১১৬ জন। আজ উপস্থিতি ৫০ শতাংশের উপরে।
গভঃ ল্যাবরেটরী হাই স্কুল সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ক্লাস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ সাইফুজ্জামান বলেন, সময় সুচির ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোন নির্দেশনা না থাকে আমরা প্রথম দিন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি আরো বলেন,মর্নিং শিফটে ক্লাস চালুর ব্যাপারেও আমরা চিন্তাভাবনা করছি।