নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী আগামী মার্চ মাস থেকে ৯ ধাপে শুরু হবে ইউপি নির্বাচন। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। প্রথম ধাপের ভোট মার্চের মাঝামাঝি থেকে শুরু হতে পারে। আনুষ্ঠানিকভাবে তফসিল ঘোষণা না হলেও সারাদেশের ন্যায় দিঘলিয়া সদর ইউনিয়নেও ইউপি নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে।
ইউনিয়নের সম্ভাব্য প্রার্থী মোট ১১ জন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ১০ জন। বাকি একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে কয়েকজন নব্য আওয়ামী লীগও রয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা স্থানীয় সংসদ সদস্যের মনোযোগ আকর্ষণ এবং আশীর্বাদ লাভের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তারা দলীয় প্রধান এবং তার ছবিসহ রং বেরঙের নানা ধরনের ব্যানার-ফেস্টুন, প্যানা তৈরি করে এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ঝুলিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও তারা সমানে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী ইতিমধ্যে উঠান বৈঠক, পাড়া-মহল্লায় সভা শুরু করেছেন। মোটরসাইকেল মহড়া দিয়েও অনেকে নিজের প্রার্থিতা জানান দিচ্ছেন।
নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী গতবারের মতো আসন্ন ইউপির ভোটও হবে দলীয় প্রতীকে। চেয়ারম্যান বা মেম্বার প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক নয়। এই সুযোগে অনেকেই চেয়ারম্যান এবং মেম্বার প্রার্থী হচ্ছেন।
ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা ফিরোজ হোসেন, বিগত তিনবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও নবগঠিত খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য মোঃ হায়দার আলী মোড়ল, দিঘলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মঞ্জুর হোসেন, প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খান নজরুল ইসলামের ভাইপো খান জিয়াউল হক সোহাগ, উপজেলা শ্রমিক লীগের প্রাক্তন সাধারন সম্পাদক ও ৭নং ইউপি সদস্য শেখ আতিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য এস এম হাবিবুর রহমান তারেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য কে এম আসাদুজ্জামান, উপজেলা যুবলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য মোড়ল হাসান মাহমুদ রাকিব, আওয়ামী লীগের সমর্থক মোঃ আশরাফ শেখ ও মোঃ ইনামুল শেখ। সম্ভাব্য একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোঃ রবিউল ইসলাম ওরফে রবি মোড়লের এর নাম শোনা যাচ্ছে।
ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ হাজার ৩৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ৮৭ জন এবং মহিলা ভোটার ১২ হাজার ২৯২ জন। গত নির্বাচনে মোঃ হায়দার আলী মোড়ল মাত্র ১২০ ভোটের ব্যবধানে বর্তমান চেয়ারম্যান মোল্যা ফিরোজ হোসেনের কাছে পরাজিত হন।
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী কে জানতে চেয়ে মুঠোফোনে কথা হয় উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মোঃ সাইফুর রহমান মিন্টুর সঙ্গে। তিনি মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, প্রত্যেক ইউনিয়নেই দলীয়ভাবে আমরা প্রার্থী দিব তবে সম্ভাব্য প্রার্থী নির্বাচন এখনো ঠিক হয় নাই।
খুলনা গেজেট/এনএম
