দেশে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে।প্রতিদিনই মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
দেশে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। যার কারণে রক্তচাপ কমে যায় এবং কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শরীরে জ্বর থাকলে বেশির ভাগ মানুষেরই খাওয়ার রুচি থাকে না। ডেঙ্গু জ্বরের সময় প্লাটিলেটের সংখ্যা ও হিমোগ্লোবিন কমে যায়। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে এবং প্লাটিলেট তৈরি করতে শরীরে প্রচুর আয়রন প্রয়োজন। এ সময় যে ধরনের খাবার খাওয়া উচিত সেগুলো নিচে দেয়া হলো—
* কলিজা, ডিম, ডালিম, মিষ্টিকুমড়ার বিচি, বিট জুস, খেজুর, কিশমিশ, জলপাই, সবুজ শাকসবজি প্লাটিলেট ও হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।
* অন্ত্র থেকে আয়রন শোষণের জন্য ভিটামিন সি-জাতীয় খাবার প্রয়োজন। তাই কমলা, জাম্বুরা, আনারস, লেবু ও অন্যান্য টকজাতীয় ফল খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। কারণ এ ধরনের খাবারে অ্যান্টিভাইরাস ও অ্যান্টি-অক্সিজেন বেশি থাকে।
* ডেঙ্গু জ্বরে রোগীর জন্য শক্তির উৎস হিসেবে স্যুপ খাওয়ানো যায়। স্যুপ শরীরে তরল পদার্থের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং অ্যান্টিবডি তৈরিতে সাহায্য করে। শরীরের শক্তি জোগায়। স্যুপে বিভিন্ন সবজিও ব্যবহার করা যায়।
* টক দই পরিপাকতন্ত্রের ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে শরীর ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা পায়।
* পেপে খাওয়া যায় এ সময়। কারণ এটি ভিটামিন বি১২ ও ফলিক অ্যাসিডের খুব ভালো উৎস।
* এ সময় ভাতের মাড় খাওয়া যায়। ভাতের মাড় ভিটামিন বির বড় উৎস। এর সঙ্গে কিছু সেদ্ধ সবজি ও একটু লেবুর রস যোগ করলে গুণাগুণ আরো বেড়ে যায়।
* আনার খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। কারণ আনারে থাকে আয়রন, ভিটামিন বি ও ফসফরাস; যা অস্থিমজ্জার কর্মক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজন।
* কচি ডাবের পানি সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও অন্যান্য ইলেকট্রোলাইটসের ভালো উৎস। এটি ইলেকট্রোলাইটসের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি তরলের ঘাটতি পূরণ করে।
যা খাবেন না
অতিরিক্ত মসলাদার ও ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। ফাস্ট ফুড, কাঁচা সবজি বা কাঁচা খাবার (যেমন সালাদ), অতিরিক্ত শক্ত খাবার ইত্যাদি পরিহার করা উচিত। এছাড়া ক্যাফেইনও ডাইইউরেটিক, যা শরীরকে পানিশূন্য করে। তাই এ সময় এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলাই উত্তম।
খুলনা গেজেট/এসএস