ডেঙ্গুতে ডিসেম্বর মাসে ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে দেশে ডেঙ্গুতে বিদায়ী বছরে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭০৫ জনে। ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২ জন। একদিনে আরও ১০৬ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন। দেশে ডেঙ্গু রোগী মৃত্যু ও শনাক্তে পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয় বিদায়ী বছরে। রাজধানীর চেয়ে তিনগুণের বেশি রোগী শনাক্ত হয় গ্রামে। বিদায়ী বছরে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে রাজধানীতে ১ লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন। মৃত ১ হাজার ৭০৫ জনের মধ্যে নারী ৯৭০ জন এবং পুরুষ ৭৩৫ জন। মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ৭২৫ জন এবং রাজধানীতে ৯৮০ জন।
আজ সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১০৬ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৩৫ জন এবং ঢাকার বাইরে ৭১ জন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২৫ জনে। ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২৯৫ জন এবং ঢাকার বাইরে ৪৩০ জন। বিদায়ী বছরে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ আক্রান্ত ১ লাখ ৯২ হাজার ৬১০ জন এবং নারী ১ লাখ ২৮ হাজার ৫৬৯ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন।
অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাইতে শনাক্ত ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২০৪ জন। আগস্টে ৭১ হাজার ৯৭৬ জন শনাক্ত এবং প্রাণহানি ৩৪২ জন। সেপ্টেম্বরে শনাক্ত রোগী ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন এবং মারা গেছেন ৩৯৬ জন। অক্টোবরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬৭ হাজার ৭৬৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৩৫৯ জন। নভেম্বরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪০ হাজার ৭১৬ জন এবং মারা গেছেন ২৭৪ জন। ডিসেম্বরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ২৮৮ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৮৩ জন।
খুলনা গেজেট/ এএজে