খুলনার ডুমুরিয়ায় গ্রামপুলিশসহ ৫ জন দল বেঁধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদি হয়ে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। গত ১ মে উপজেলার শোভনা পশ্চিম পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আদালতে দায়ের কৃত মামলা ও ধর্ষিতা পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, শোভনা দাস পাড়া এলাকার দিলীপ দাস (২৬) নামের এক যুবক ওই গৃহবধূকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিষয়টি গৃহবধূ তার দীনমজুর স্বামীকে জানালে ঘটনার দিন সকালে স্বামী ওই দিলীপ দাসের কাছে কু-প্রস্তাবের কারণ জানতে চায়। এ সময় তাকে কারণ বলা তো দুরের কথা উল্টো মারপিট করে আহত করে। এতেও খুশি হতে না পেরে দিলীপ তার বন্ধু স্থানীয় গ্রামপুলিশ স্বার্ত্তিক দাস, সহদেব দাস, মদন দাস ও রমেশ দাস সহ ৫ জন ওই দিন রাত ২টার দিকে গৃহবধূর বাড়িতে হানা দেয়। একপর্যায়ে গ্রামপুলিশ স্বার্ত্তিক দাসের ডাকে স্বামী ঘরের দরজা খুলে বেরিয়ে আসলে কাপড় দিয়ে মুখ ও হাত পা বেঁধে ফেলে। এরপর গৃহবধূকে ঘর থেকে টেনে হেঁচড়ে বের করে সঙ্গবদ্ধ ওই দলটি পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ প্রসঙ্গে বাদি পক্ষের আইনজীবী মোঃ মনিরুদ্দিন জানান, এ ঘটনায় ৯ মে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই কে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বিশ্বাস জানান, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।