পর্ণোগ্রাফি মামলায় নিজেদের দোষ স্বীকার করে খুলনার দু’টি পৃথক আদালতে চারজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সোমবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১ ও ৩ এর বিচারক মো: মনিরুজ্জামান এবং মো: সাইফুজ্জামান তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আসমিরা হলো, রনিত বিশ্বাস, অন্তর ফৌজদার, মো: জান্নাতুল ফেরদৌস নাঈম ও সৈকত মন্ডল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডুমুরিয়া থানার এসআই শিহাব উদ্দিন মোল্লা জানান, মামলার বাদী সখিচরণ বিশ্বাস ডুমুরিয়া থানার পাটকেলপোতা এলাকার বাসিন্দা। প্রধান আসামি রনিত বিশ্বাস বাদীর প্রতিবেশী। তার কন্যা গুটুদিয়া এসিজিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। রনিতও ওই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। সে প্রায়ই সখিচরণের মেয়েকে উত্যক্তসহ কুপ্রস্তাব দিতে থাকে।
একপর্যায়ে সখিচরণের পরিবারের ব্যবহারযোগ্য বাথরুমে মেয়ের গোসলের দৃশ্য ধারণ করে রনিত। পরবর্তীতে ওই ভিডিও দেখিয়ে সখিচরণের কন্যাকে কু প্রস্তাব দিতে থাকে। প্রস্তাবে রাজি না হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
প্রথমে রনিত বন্ধু অন্তুর ম্যাসেঞ্জারে নগ্ন ভিড়িওটি পাঠিয়ে দেয়। এরপর অন্তু অপরাপর তিন বন্ধু যথাক্রমে নাইম ও সৈকতের কাছে পাঠিয়ে দেয়। সৈকত পরে চন্দনের মোবাইলে পাঠিয়ে দিলে সে সখিচরণকে মেয়ের নগ্ন ভিডিওটি দেখায়। রোববার ওই স্কুল পড়ুয়া কন্যার পিতা থানা বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন, যার নং ১১।
রাতে আসামিদের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ আসামিদের নিকট থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করে। থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে। পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চাইলে দুপুরে তাদেরকে আদালতে আনা হয় এবং দু’টি আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে।
খুলনা গেজেট/ টি আই