খুলনার ডুমুরিয়ায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রভাবশালী ব্যক্তি কর্তৃক সরকারি খালের জায়গা মাটি ভরাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোলনা গ্রামে।
এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে রোববার এলাকাবাসীর পক্ষে রফিকুল ইসলাম খানসহ ৫ জন ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রাপ্ত অভিযোগ সূত্রে, জেলা ডুমুরিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোলনা মৌজার কোদাল কাঁটা বিলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ গোলনা খাল। বর্ষা মৌসুমে কোদালকাঁটা বিল হতে ওই খাল দিয়ে গোলনা নদীতে পানি নিষ্কাসিত হয়ে থাকে। অভিযোগ উঠেছে খালের পাড়ে বসবাসকারি স্হানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি মোঃ মোমিন খান সরকারি ওই খালের কিছু অংশ মাটি দ্বারা ভরাট করে গত জানুয়ারী মাসের মাঝামাঝি সময়ে স্থাপনা তৈরী শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন তাকে নিষেধ করলে কারো কথায় কর্ণপাত না করে মাটি ভরাট কাজ অব্যাহত রাখে। এমনকি বাঁধা প্রদানকারীদের হুমকি ধামকি দেন। উপায়ন্ত না দেখে বিষয়টি স্হানীয় কতিপয় ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষনিকভাবে ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারকে পাঠিয়ে খাল ভরাটের কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকার পর আবার মাটি ভরাট কাজ শুরু করেছেন ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি।
এ ঘটনায় স্থানীয় ভূক্তভোগী রফিকুল ইসলাম খান,মহাসিন খান,মোজাম্মেল হোসেন খান, ইকবাল খান ও ইউসুফ খান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ মোমিন খান জানান, তিনি যে জায়গা ভরাট করছেন তা তার নিজস্ব জমি। কোন সরকারি খালের জমি নয়। কাউকে হুমকি-ধামকি দেয়ার বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ইতোপূর্বে অভিযোগ পেয়ে সার্ভেয়ারকে পাঠিয়ে মাটি ভরাট কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তারপরও যদি বেআইনীভাবে খালের জমি ভরাটের কাজ শুরু করে থাকে তা হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই