ডুমুরিয়ায় খায়রুল ইসলাম সবুজ নামে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক শিশুকে শারিরিক নির্যাতন করার ঘটনায় থানায় ৩ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামীসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা যায়, উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নের খরশংঘ গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে কেসিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র খায়রুল ইসলাম সবুজ (১১) গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পাশের বিলে ছাগল আনতে যায়। ছাগল পাশের মৎস্য ঘেরে প্রবেশ করার অপরাধে একই গ্রামের রফিকুল মোড়ল (৫০) তাকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে এবং শিশুটিকে মৎস্য ঘেরের পুকুরে চুবিয়ে ধরে। এ ব্যাপারে শিশুটির বাবা ওই দিন রাতেই ডুমুরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দেয়ার অপরাধে ঘটনারদিন রাতে ৭/৮ জনকে নিয়ে সিরাজুলের বাড়িতে ঢুকে তাকে না পেয়ে তার স্ত্রী অর্থাৎ শিশুটির মা শিউলি বেগমকে মারপিট করে। ঘটনাটি খুলনা গেজেটে ‘মৎস্য ঘেরে ছাগল প্রবেশের অপরাধে শিশুকে নির্যাতন ‘ শীর্ষক শিরোনামসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রচার হলে প্রশাসনের টনক নড়ে। অবশেষে সোমবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনায় ডুমুরিয়া থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আমিনুল ইসলাম শোলগাতিয়া বাজার থেকে নাজমুল ইসলাম মোড়লকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার পিতা ঘটনার মুল হোতা রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডুমুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলার প্রধান আসামীসহ ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : মৎস্য ঘেরে ছাগল প্রবেশের অপরাধে শিশুকে নির্যাতন
খুলনা গেজেট / এমএম