অবশেষে ঐহিত্যবাহী বানিজ্যিক নগরী নামে খ্যাত খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর শহরের যতিন কাশেম রোডের প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলনা জেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাকিবুল হাসান ও বিষ্ণুপদ পাল এবং ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এই উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এ বিষয়ে খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, “তারা সরকারি সম্পত্তি ইজারা নিয়ে নিজেদের খেয়াল খুশিমত একতল, দ্বিতল ও তিনতল ভবন নির্মাণ করে সরকারের সকল শর্ত ভঙ্গ করেছে। টিনসেট ভবন করার কথা থাকলেও তারা তা অমান্য করেছে। নিজে ব্যবসা না করে অন্যকে ভাড়া দিয়েছে। এছাড়া জেলা পরিষদের রাজস্ব পরিশোধ না করে নানাবিধ অনিয়ম করেছে। একারণে খুলনা জেলা পরিষদের প্ক্ষ থেকে আদালতে উচ্ছেদ মামলা করা হয়েছে। সেই মামলার সূত্রে ইজারা গ্রহিতাদের বারবার নোটিশ করা হলেও তারা ভ্রুক্ষেপ করেনি। অবশেষে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, শতাধিক বছর ধরে জেলা পরিষদের নিকট থেকে ইজারা নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করে আসছিলেন চুকনগর এলাকার ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বেশ কয়েক বছর আগে থেকে উক্ত ব্যবসায়ীরা বিশেষ করে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা ইজারা শর্ত ভঙ্গ করে বহুতল ভবন নির্মাণ ও নিজে ব্যবসা না করে অন্যত্র ভাড়া দেয়া, জেলা পরিষদের রাজস্ব পরিশোধ না করা সহ বিভিন্ন অনিয়ম শুরু করে।
এ বিষয়ে সত্যতা পাওয়ার পর জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে স্থাপনা ভেঙ্গে নেয়ার জন্য ইজারা গ্রহিতাদের চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু তারা স্থাপনা উচ্ছেদ না করে নানা টালবাহানা করতে থাকে। এই অবস্থায় গত মঙ্গলবার ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আব্দুল ওয়াদুদু ইজারাদার ও দোকানদারদের ২৪ঘন্টার মধ্যে জেলা পরিষদের জায়গা খালি করার জন্য সময় বেঁধে দেন। সে মোতাবেক ব্যবসায়ীরা বুধবার রাতে তাদের মালপত্র অন্যত্র সরিয়ে নেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের প্ক্ষ থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। শুক্রবারও দিনব্যাপী এ অভিযান কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানা যায়।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি