খুলনার ডুমুরিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিক বরাদ্দের পর কয়েকটি ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রতিপক্ষ প্রার্থীর কর্মী সমর্থক ও প্রার্থীদের সম্পর্কে অশ্লীল, অশোভন বক্তব্য ও ভোটারদের ভয় ভীতি ও হুমকির ঘটনায় নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই সহিংসতায় রূপ নিচ্ছে। বুধবার রাতে উপজেলার সাহস ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় আনারস প্রতিকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোল্লা মাহবুর রহমানের ৫ কর্মীকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে আহত করা হয়েছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন,নোয়াকাঠী গ্রামের টিনু মোল্লা (৩৫),কুমারঘাটা গ্রামের আব্দুল্লাহ (২২),কবীর হোসেন(৩৮),আবুল হোসেন, জাহাঙ্গীর শেখ(৩৮)। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এঘটনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মোল্লা মাহাবুর রহমান জানান,বুধবার রাতে আমি নোয়াকাটির বটতলা এলাকায় একটি চায়ের দোকানের সামনে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে আলোচনা করছিলাম। এ সময় নৌকা প্রার্থী শেখ আব্দুল কুদ্দুসের ভাই হায়দার আলী ও তার ভাইপোর নেতৃত্বে একদল যুবক লাঠিসোটা ও ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় ৫ জন কর্মী রক্তাক্ত জখম হয়।
এদিকে হায়দার আলী বলেন, তারা সম্মিলিত হয়ে নৌকার বিপক্ষে কথা বলছিল তাই মারপিট করা হয়েছে। তারাও আমাদের দু’জনকে মেরে আহত করছে।
এব্যাপারে ডুমুরিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মোঃ ওবাইদুর রহমান বলেন, নোয়াকাটির ঘটনায় কোন পক্ষই অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য শিক্ষাবিদ নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, নির্বাচন সম্পূর্ন শান্তিপূর্নভাবে অনুষ্ঠিত হবে। কোন রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না। সবাইকে সহনশীল আচরন করতে হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই