খুলনার ডুমুরিয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দীর্ঘ একশ’ বছরের ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে তান্ডবলীলা চালিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় শতাধিক গাছ কেটে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ১২ জনকে আসামী করে ডুমুরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
ডুমুরিয়া উপজেলার আন্দুলিয়া গ্রামের মৃত বিএম আবু বক্কর এর পুত্র বিএম হাবিবুর রহমান (৪২) এর অভিযোগপত্র সূত্রে, বিবাদীদের সাথে তাদের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত যার মৌজা-আন্দুলিয়া, জেএল নং-১৪, খতিয়ান নং এসএ-২০০, দাগ নং এসএ-১৬২, জমির পরিমান-৪৯ শতক ভোগ দখলীয় সম্পত্তি নিয়ে পূর্ব হতে বিরোধ চলে আসছে। যা বাদীর দাদা মৃত বাখের আলী বিশ্বাসসহ তিনি ১শ’ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছেন।
গত ২৬ জুন সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে আন্দুলিয়া গ্রামের মৃত গোমেজতুল্য’র পুত্র আছাবুর রহমান বিশ্বাস, মৃত সামতুল্য বিশ্বাসের পুত্র হাবিবুর রহমান, হায়দার আলী বিশ্বাস ও বিএম মান্নান, হায়দার আলী বিশ্বাসের পুত্র পারভেজ্জামান ও সহীবজ্জামান, হাবিবুর রহমানের পুত্র ওহিদুজ্জামান, মৃত গফুর আকুঞ্জির পুত্র মিজানুর রহমান আকুঞ্জি, সলেমান বিশ্বাসের পুত্র সজল বিশ্বাস, মৃত গোলাম নবী গাজীর পুত্র আইয়ূব গাজী, মৃত মোকছেদ আলী বিশ্বাসের পুত্র মহিদুল বিশ্বাস এবং হাসান আকুঞ্জির পুত্র রাকিব আকুঞ্জিসহ ৫/৬ জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদীর ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে অনাধিকার প্রবেশ করে। এসময় ৪০/৫০টি সুপারী গাছ, ২০/২৫টি বাঁশ, ৭/৮টি মেহগনি গাছ, ৪/৫টি খেঁজুর গাছ, ৪/৫টি নারকেল গাছের চারা সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছ কেটে প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। তখন বাদীর ভাবী বিলকিস বেগম, মাতা হামিদা বেগম ও ছোট ভাবী রত্ন বেগম বিবাদীদের কাছে এভাবে গাছ গুলো কাটার কারণ জানতে চাইলে তাদেরকে পিটিয়ে জখম করা হয়। এসময় বাদীর ছোট ভাতিজি মারিয়া ফারজানা পিংকী ও বড় ভাতিজি সুমাইয়া ইয়াসমিন এ্যানি বিবাদীদেরকে ঠেকাতে গেলে তাদেরকেও পিটিয়ে জখম করা হয়। এঘটনায় ১২ জনকে আসামী করে বিএম হাবিবুর রহমান ডুমুরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে আছাবুর রহমান বিশ্বাসের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।
ডুমুুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ওবাইদুর রহমান বলেন, মামলা এজাহার হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই