খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৭ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  সামিট গ্রুপের আজিজসহ পরিবারের ১১ সদস্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
  সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার

ডুমুরিয়ার পানি ফল যাচ্ছে সারাদেশে

গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া

খুলনার ডুমুরিয়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে পানি ফল বা পানি সিংড়া। এ ফল সরবরাহ করা হচ্ছে সারাদেশে। চাষে লাভজনক হওয়ায় পানি ফল চাষে ঝুঁকছে চাষীরা।

ডুমুরিয়ার আশপাশের বিভিন্ন বিল ও জলাশয়ে এ পানি ফল চাষ করা হচ্ছে। পানিতে জন্মে বলে এ ফলের নাম পানি ফল বা পানি সিংড়া। লতাপাতার মত জলাশয়ে ভাসতে দেখা যায় পানি ফলের গাছ। মৌসুমী ফসল হিসেবে পানি ফল চাষ করা হয়। অনেকে মাছের সাথে মিশ্রভাবেও পানি ফলের চাষ করে থাকে। পানি ফলে পানি ও প্রচুর খনিজ উপাদান থাকে।

জানা গেছে, ডুমুরিয়ায় পতিত খালবিল ও জলাশয় জুড়ে চাষ হচ্ছে পানি ফলের। লাভজনক হওয়ায় এ উপজেলায় প্রতিবছর বাড়ছে এ ফলের চাষ। প্রতিবছর যেমন চাষ বাড়ছে তেমননি প্রতিটি হাট বাজারে বেচাকেনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বেকারত্ব দূর হচ্ছে। পানি ফল চাষ মূলত্র কম খরচে,কম পরিশ্রমে দামও মোটামুটি হওয়ায় কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হচ্ছে।

খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, আষাঢ় মাস থেকে ভাদ্র বা আশ্বিন মাস পর্যন্ত চারা লাগানো যায়। চারা লাগানোর দুই থেকে আড়াই মাস পর ফল তোলা যায়। প্রতি গাছ থেকে ৩/৪বার ফল তোলা যায়। এভাবে পৌষ মাস পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। এ ফলের কোন বীজ নেই। মৌসুম শেষে পরিপক্ক ফল থেকে আবারও চারা গজায়। সে চারা পরে জলাশয়ে লাগানো হয়।

উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের লতা গ্রামের দীপঙ্কর মন্ডল বলেন,তিনি এ বছর সাড়ে ৭বিঘা জমিতে পানি ফল চাষ করেছে। খরচ অতি সামান্য। খরচের তুলনায় প্রায় ১০গুন লাভ পাবেন তিনি। এদিকে কম খরচে লাভবান হওয়ায় ডুমুরিয়ার কৃষকরা এ ফলের চাষে আগ্রহী হচ্ছে।

এছাড়া উপজেলার বিল ডাকাতিয়া খাল বিল জলাশয় জুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে পানি ফলের গাছ। প্রতিটি শহর ও গ্রামে এ ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সিদ্ধ করেও এ ফল খাওয়া যায়। বাজারে কাঁচা ফলের পাশাপাশি সিদ্ধ ফলও বিক্রি হয়ে থাকে। উপজেলার চুকনগর বাজারের ফল ব্যবসায়ী হযরত আলী মোড়ল জানায়,আশ্বিস থেকে পৌষ মাস পর্যন্ত পুরোদমে এ ফল বিক্রয় করা যায়। সিজোনাল ফল হওয়ায় প্রতিদিন ১মণ ফল বিক্রয় করা সম্ভব। এতে প্রায় ৫/৬শ’ টাকা লাভ হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন বলেন,পানি ফল অত্যন্ত সুস্বাদু। ডুমুরিয়া থেকে পানি ফলসহ এর চারা দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগ প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছে। আগামীতে এ উপজেলায় পানি ফল চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা করেন।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!