খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪

Breaking News

  ৭ ব্যক্তিকে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
  নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১৭
চাঁচড়ার দাড়িপাড়া-নারায়নপুর দুই কিলোমিটার

ডিজিটাল যুগেও যশোরে মাটির সড়কে বর্ষায় বেহাল, দুর্ভোগে দু’শতাধিক পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

বর্তমান ডিজিটাল যুগেও যশোরে মাটির রাস্তায় চলাচল করে একটি ইউনিয়নের মানুষ। কিন্তু চলতি বৃষ্টিপাতে সেই রাস্তা কাঁদাপানিতে একাকার হয়ে গেছে। ফলে মাটির এ দুই কিলোমিটার সড়কে চলাচল করতে পারছে না দুটি গ্রামের দু’শতাধিক পরিবারের সদস্যরা। সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের দাড়িপাড়া থেকে নারায়ণপুর গ্রাম পর্যন্ত সড়কটির এখন বেহাল অবস্থা। এ কারণে গ্রামবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

এলাকাবাসী সূত্র জানায়, চাঁচড়া ইউনিয়নের দাড়িপাড়া থেকে নারায়ণপুর গ্রামে প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের বসবাস। বর্ষা মৌসুম এলেই এলাকাবাসী দুই কিলোমিটার মাটির রাস্তায় চলাচলে চরম সমস্যায় পড়ে। এ রাস্তায় চলাচলে তারা বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অথচ তাদের এ দুর্ভোগ দেখার ও সমাধানের কেউ নেই। কাঁচা মাটির সড়কটি বর্তমানে বৃষ্টিপাতে পানি কাঁদায় একাকার হয়ে রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃষ্টির কারণে মাটির রাস্তাটি চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে গেছে। প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে দুই শতাধিক পরিবারের ছেলেমেয়েরা স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে। এলাকায় মৎস্যজীবীরা বসবাস করায় তাদের উৎপাদিত মাছ ও মাঠে উৎপাদিত সবজি বাজারে নিয়ে যেতে চরম সমস্যায় পড়ে। এরপরও হঠাৎ কেউ মারাত্বক অসুস্থ হয়ে পড়লে জরুরি অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে সড়কের কারণে। এই রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স যেতে পারে না। এছাড়াও কিছু মৎস্য খামার ও মুরগির ফার্ম আছে, রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে সেগুলো প্রায় বন্ধের পথে। যশোর শহরে যাতায়াতের জন্য এই একটি রাস্তা দিয়েই তাদের চলাচল করতে হয়।

এলাকাবাসী জানায়, এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী সেলিম রেজা পান্নু নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিবছর বর্ষাকালে রাস্তাটিতে ইট, খোয়া দিয়ে সামান্য চলাচলের উপযোগী করেন। এ কাজে কিছুটা স্বস্তি হলেও ভরা বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি পানি কাঁদায় চলাচল করতে মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। চাঁচড়া ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ মনে করে আশেপাশের প্রায় সব রাস্তা এখন পাকা হয়ে গেছে, কিন্তু এই রাস্তাটি এখনো মাটির রয়ে গেছে। এই মাটির রাস্তাটি নিয়ে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ দীর্ঘদিনের। তাদের দাবি গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করে পাকা করা হলে জনদুর্ভোগ অনেকাংশে কমে যাবে। এ জন্য তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে চাঁচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামীম রেজা বলেন, বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদে উন্নয়ন কাজের কোন বরাদ্দ নেই। এ কারণে তারা সড়কটি সংস্কার করতে পারছে না। বরাদ্দ এলেই ওই সড়কটি উন্নীত করা হবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!