খুলনা মহানগরীর ডাকবাংলা হতে আফিল গেট পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়ক ৪-৬ লেনে উন্নীতকরণের কার্যক্রম শুরু করেছে খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫’শ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। পেভমেন্ট ডিজাইন (pavement design)’র জন্য খুলনা সওজ থেকে অফিশিয়ালি লিখে সড়ক ভবনে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে খুলনা নগরীর নতুর রূপ লাভ করবে। পাশাপাশি কমবে যানজট ও ভোগান্তি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সড়ক প্রশস্তকরণের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দিনব্যাপী খুলনা-যশোর জাতীয় মহাসড়ক (এন-৭)’র ডাকবাংলা হতে আফিল গেট পর্যন্ত সড়কের দু’ পাশের সওজ ‘র জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)’র খুলনা জোনের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা অনিন্দিতা রায় (উপসচিব) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট The Government and Local Authority Lands and Buildings (Recovery of Possession) Ordinance, 1970 ও মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর ৫ ধারা মোতাবেক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুজ্জামান মাসুদ প্রকল্প বিষয়ে খুলনা গেজেটকে বলেন, খুলনা শহরের প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলা হতে আফিল গেট পর্যন্ত খুলনা-যশোর জাতীয় মহাসড়ক (এন-৭) ‘র একটা অংশ। এই শহরের প্রাণকেন্দ্র বিশেষ করে দৌলতপুর বাজার, ফুলবাড়ি গেট, নতুন রাস্তা, বয়রা, বৈকালী, শিববাড়ি, পাওয়ার হাউজ মোড়ে প্রচন্ড যানজট হয়। এছাড়া পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর খুলনা শহরের উপর অত্যান্ত যানজটের চাপ বেড়েছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ২১ জেলার যোগাযোগে সুফল হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে খুলনা শহরের যানজট নিরসনে আমরা ৪ লেন বা ৬ লেন করার পরিকল্পণা নিয়েছি। ইতিমধ্যে সড়ক বিভাগ খুলনা থেকে ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হয়েছে।
তিনি জানান, ডাকবাংলা হতে আফিল গেট পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার ৪ বা ৬ লেন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২৫ কিলোমিটার সড়ক করতে আমাদের প্রায় ১৫’শ কোটি টাকা লাগবে। ইতিমধ্যে আমরা পেভমেন্ট ডিজাইনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখেছি। খুব দ্রুতই ডিজাইন পাওয়া গেলে আমাদের ডিপিপি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবো। ডিপিপি পাঠানোর এক বছরের মধ্যে পাস হয়ে যাবে। ডিপিপি পাস হওয়ার দুু’বছরের মধ্যে আমরা প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সমর্থ্য হবো। ফিজিবিলিটি স্টাডিতে যেটা এসেছে যানজট যুক্ত পয়েন্টগুলোতে ফুট ওভার ব্রিজ বা ওভারপাশ করা প্রয়োজন। এ গুলো সম্পন্ন হলে আশাকরি খুলনা শহরের যানজট সমস্যা অনেক কমে আসবে।
তিনি আরো বলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনও বিভিন্ন সড়কগুলো সম্প্রসারণ বা ৪ লেন করছে। সুতরাং খুলনা শহরের যানবাহন ব্যবস্থার একটা বড় ধরণের উন্নয়ন হবে।
তিনি আরো বলেন, এখানে বিশেষ করে অটো ভেটার ল্যান্ডও রাখা হবে, যাতে করে অটো, রিক্সা মোটর সাইকেল বা সাইকেল চলতে পারে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিকাংশ জায়গা আছে। যে জায়গাগুলোতে অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এগুলো দ্রুত অপসারণ করা হবে। কিছু কিছু স্থানে নতুন করে জিমি প্রয়োজন হতে পারে। এতে প্রকল্প বাস্তবায়নে কোন সমস্যা সৃষ্টি হবে না।