ডলারের দর বৃদ্ধির কারণে বাড়বে বিদ্যুতের দাম- এমন আভাস দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, সংকট তৈরি হলে প্রয়োজনে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় লোডশেডিং করা হবে। শুক্রবার (১০ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ডলার সংকট, উৎপাদন সক্ষমতার অভাবসহ নানা কারণে চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। যার প্রভাব পড়ছে শিল্পকারখানাসহ ব্যক্তিজীবনে। এর ফলে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। বাড়ছে ব্যয়ও। দিনশেষে যা আঘাত হানছে সামষ্টিক অর্থনীতিতে। এমন বাস্তবতায় সমসাময়িক জ্বালানি খাতের নানা বিষয় নিয়ে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে এবারের গরমে চাহিদামতো বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে নসরুল হামিদ বলেন, সব কাজে অর্থের প্রয়োজন। অর্থনৈতিক টানাপোড়েন চলছে, যার কারণে গত মাসে কিছু সমস্যা হয়েছে।
ডলারের দর বৃদ্ধির প্রভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ার আভাস দিয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, তেল-গ্যাসের মতো বছরে ৪-৫ বার সমন্বয় করা হবে বিদ্যুতের দাম। এই খাতে ধীরে ধীরে তুলে দেয়া হবে ভর্তুকি।
এদিন সংবাদ সম্মেলনে ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়ে সঠিক ধারণা না থাকায় বিশেষজ্ঞদের সমালোচনা করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, কথিত বিশেষজ্ঞরা ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের বলতে চাই, ক্যাপাসিটি চার্জ ছাড়া ১০০ মেগাওয়াটের একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট করেন, দেখি।
২০২৭ সালের মধ্যে বিদ্যুতের সংকট শতভাগ মিটবে- এমন আশার কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আসন্ন বাজেটে বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে শুল্ক কমাতে হবে। বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে আমদানি শুল্কের পরিমাণ শিথিল করা দরকার।
খুলনা গেজেট/এএজে