খুলনা জেনারেল হাসপাতালের আড়াই কোটি টাকার ঘাপলা সাধারণ ডায়েরীর মধ্যেই আপাতত সীমাবদ্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের এ দুর্নীতি তদন্তে গঠিত কমিটি এখনও প্রতিবেদন জমা দেয়নি। সঠিক প্রতিবেদনের জন্য সময় চেয়েছেন সদস্যরা। দুদকে বিষয়টি জানানো হলেও এ বিষয়ে তারা এখনও কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিদেশগামীদের করোনার নমুনা পরীক্ষা খুলনা জেনারেল হাসপাতালে হয়। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাশ নমুনা পরীক্ষার ফি গ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন। ২০২০ সালের ২ জুলাই থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ নমুনা পরীক্ষা করতেন, তার থেকে কম সংখ্যক মানুষের নাম খাতায় লিপিবদ্ধ করতেন। বাকি টাকা তিনি আত্মসাৎ করতেন। প্রকাশ যে পরিমাণ টাকা ক্যাশিয়ারের কাছে দিতেন সেই টাকা বুঝে নিয়ে ব্যাংকে জমা দিতেন তিনি। এ বিষয়ে সিভিল সার্জনের সন্দেহ হলে প্রকাশের কাছে চিঠি দিয়ে এ বছরের এপ্রিল মাসে লিখিত হিসাব চাওয়া হয়। বিভিন্ন তালবাহানা করে কালক্ষেপণ করতে থাকে প্রকাশ। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি তার কাছে জিজ্ঞাসা করলে হিসেবে গড়মিল রয়েছে বলে স্বীকার করে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি কমিটির কাছে হিসাব না দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। এরপর থেকে প্রকাশ কুমারের আর কোন খোঁজ নেই।
খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা: জসিম উদ্দিন হাওলাদার এ প্রতিবেদককে জানান, প্রকাশ এক মাস পাঁচ দিন ধরে আত্মগোপনে রয়েছে। তদন্ত কমিটি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য এ মাসের ১৮ তারিখ থেকে ১৫ দিনের সময় চেয়েছে। আগামী ৪ নভেম্বর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা। প্রকাশ ধরা পড়লেই সবকিছু পরিস্কারভাবে পাওয়া যেত বলে তিনি এ প্রতিবেদকে জানিয়েছেন।
তদন্ত কমিটির সভাপতি স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-পরিচালক ডাঃ মঞ্জুরুল মুর্শিদ জানান, সঠিক তদন্তের জন্য আরও সময়ের প্রয়োজন। যেন সঠিক তথ্য বের হয়ে আসে। সুষ্ঠু প্রতিবেদন জমা দিতে নভেম্বর মাস সময় লাগতে পারে বলে তিনি আরও জানিয়েছেন।
দুদক খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো: শাওন মিয়া জানান, পরিচালক স্যার ঢাকায় অবস্থান করছেন। এ বিষয়ে ঢাকা কার্যালয়ের সাথে তিনি কথা বলবেন। তবে আগামী সপ্তাহে এ ব্যাপারে কিছু একটা হবে বলে তিনি আরও জানিয়েছেন।
স্বামীর ব্যাপারে প্রকাশের স্ত্রী মাধবী লতা বলেন, তার কোন খোঁজ নেই।
খুলনা গেজেট/এনএম