দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয়ের লক্ষ্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ট্রাক সেলের মাধ্যমে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ যাতে এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়, সেজন্য সরকার ই-কমার্সের সহযোগিতায় ভোজ্যতেল, ছোলা, চিনি ও ডাল এ চার পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তবে এখনি এ সেবা পাচ্ছেন না খুলনার বাসিন্দারা।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সোমবার (২৬ এপ্রিল) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও টিসিবির সহযোগিতায় ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন (ই-ক্যাব) আয়োজিত ‘মাহে রমজানে ঘরে বসে স্বস্তির বাজার’ নামে এ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য মধ্যবিত্তের ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ই-কমার্সের সহযোগিতা নিয়েছে। এর আগে এ প্রক্রিয়ায় পেঁয়াজ ও আম বিক্রয়ের ক্ষেত্রে দেশের মানুষ সুফল পেয়েছে। আশা করা যায়, মানুষ ই-কমার্সের প্রতি আস্থাশীল হবেন। তিনি বলেন, ই-কমার্সের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘরে ঘরে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছেন। এটি একটি প্রশংসনীয় কাজ। এ বিপদের সময় মানুষ ঘরে বসে পণ্য কেনার সুযোগ পাচ্ছে।
এই কার্যক্রমের প্রধান নির্বাহী এবং আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানান, বাজারের চেয়ে অনেক কম দামে পণ্য কিনতে পারবেন ক্রেতারা। তেল ১০৮ টাকা, ছোলা, চিনি ও ডাল ৫৮ টাকায় কিনতে পারবেন।
এ ব্যাপারে খুলনার টিসিবি’র উপ-উর্ধতন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান খুলনা গেজেটকে বলেন, গত বছর ঢাকা এবং চট্রগ্রামে অনলাইনের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করে এই সেবা কার্যক্রমের শুরু হয়েছিলো। মূলত: মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষও যাতে এ সুবিধা গ্রহণ করতে পারে তার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় আমরা এখনি খুলনাতে এই সেবা কার্যক্রম শুরু করতে পারছিনা। নির্দেশনা পেলে অবশ্যই খুলনাতেও অতি দ্রুত এই সেবা কার্যক্রমের শুরু হবে। আপাতত ঢাকায় তিনটি, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে একটি করে প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য বিক্রি করবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে আগাম ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এরপর দেশের বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজের বাজার ঠিক রাখতে ও সাধারণ ক্রেতাদের দোরগোড়ায় পণ্যটি পৌঁছে দিতে ই-কমার্স সাইটগুলোর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো অনলাইনে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
খুলনা গেজেট/এনএম