করোনা নির্মূলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সকাল থেকেই ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হয়েছে। বৈরি আবহাওয়া ও লকডাউনের কারণে অনেকে টিকা কেন্দ্রে আসতে পারেনি। নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ড এলাকার কয়েকটি কেন্দ্রে কিছু অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করেছেন টিকা গ্রহীতারা। স্বাস্থ্যবিধি না মানার অভিযোগও রয়েছে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৯ টা থেকে কেন্দ্রগুলোতে টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ডে তিনটি কেন্দ্র রয়েছে। পূর্ব বানিয়াখামার জনকল্যাণ সমিতি, ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় ও সাতরাস্তা মোড় সূর্য্যের হাসি ক্লিনিক। সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ার কারণে ওয়ার্ডের অধিকাংশ বাসিন্দা জনকল্যাণ সমিতির কার্যালয়ের সামনে ভিড় করতে থাকে। লকডাউনের কারণে ফটোস্ট্যাটের দোকান বন্ধ থাকায় অনেকে আইডি কার্ড ফটোকপি করতে পারেনি। ফলে টিকা না দিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে তারা। প্রথমদিনে প্রতিবন্ধি ও পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়স্ক মানুষের টিকা দেওয়ার কথা বললেও সেখানে তা ঠিকমতো অনুসরণ করা হচ্ছে না। অনেকের অভিযোগ টিকা কেন্দ্রে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের পরিচিত মানুষদের আগে টিকা দিচ্ছেন।
টিকা নিতে আসা গফ্ফার জানান, “সকালে টিকা কেন্দ্র্রে এসেছি। জানতে পারলাম যে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধিদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। পঞ্চাশের নীচের বয়সের লোকজন টিকা নিচ্ছে, কিন্তু আমাদের দেওয়া হচ্ছেনা। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকদের তেমন আগ্রহ নেই। একে অপরের গা ঘেষে রয়েছেন। ”
অপরদিকে টিকা গ্রহীতা মোঃ নিজাম শেখ জানান, “অদক্ষ কর্মী দিয়ে এখানে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। তাছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে অধিকাংশই উদাসীন। এখান থেকে করোনা সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।”
পূর্ব বানিয়াখামার জনকল্যাণ সমিতি কেন্দ্রে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক জিহাদুর রহমান জিহাদ জানান, বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানুষ টিকা নিতে আসছে। এখানে দু’জন দক্ষ টিকাদানকারী জনগণকে টিকা দিবেন। সময় বৃদ্ধির সাথে সাথে টিকা গ্রহীতার সংখ্যাও বাড়ছে। জনবলের অভাবে তারা সামাজিক দূরত্ব ঠিকমতো বজায় রাখতে পারছেন না। যেভাবে সংক্রমিত হচ্ছে মানুষ যদি সচেতন না হয় তাহলে টিকা দিয়ে কোন লাভ হবে না বলে তিনি জানান।