অল্প পুঁজি নিয়েও শুরু থেকেই বাংলাদেশকে চেপে ধরেছিল ভারত। ফলে ম্যাচটি একবার টাইগ্রেসদের তীরে তো আরেকবার ভিড়তে থাকে সফরকারীদের। স্বাগতিকদের পানসে ব্যাটিং পারফরম্যান্সের পাশে একমাত্র উজ্জ্বল নাম অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। কিন্তু বাংলাদেশের যখন আর ৮ বলে ১০ রান প্রয়োজন, তখনই জ্যোতি আউট হয়ে যান। সেখানেই শেষ হয়ে যায় টাইগ্রেসদের জয়ের স্বপ্ন। টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ ভারতের।
এর আগে মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে বিপর্যয়ে পড়েছিল সফরকারী মেয়েরা। প্রথম ম্যাচ ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতে তারা সিরিজে এগিয়ে ছিল। তবে এই ম্যাচে মাত্র ৯৫ রান সংগ্রহ করায় সমতায় ফেরার ভালো সুযোগ ছিল জ্যোতিদের। কিন্তু সেই সহজ লক্ষ্যের বিপরীতেও এক জ্যোতি বাদে কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। হারমনপ্রীত কৌরের দল জয় পেয়েছে ৮ রানে।
সহজ রানতাড়ায় বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ভাঙে মাত্র ১০ রানে। স্পিনার মিন্নু মানির দ্বিতীয় বলেই ৫ রানে ক্যাচ আউট হন শামীমা সুলতানা। এরপর দুই রান যোগ হতে ফেরেন আরেক ওপেনার সাথী রানিও, তারও সংগ্রহ সমান ৫ রান। এরপর ওয়ানডাউনে নামা টাইগ্রেস ব্যাটার মুরশীদা খাতুনকে রান তুলতে বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে। ১৫ বলে তিনি মাত্র ৪ রান করে ফেরেন। এভাবে স্বাগতিকদের আসা-যাওয়ার চিত্র দেখা গেছে পুরো ম্যাচজুড়েই।
একপ্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে সতীর্থদের উইকেটের পতন দেখলেও, অবিচল ছিলেন জ্যোতি। তবে তার আউটেই সিরিজ ফসকে যায় টাইগ্রেসদের হাত থেকে। ৫৫ বলে তিনি করেন ৩৮ রান। পুরো স্কোরবোর্ডে তাকালে বাকি ব্যাটারদের দৈন্যদশাই কেবল চোখে পড়বে। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান ৭, এসেছে স্বর্না আক্তারের ব্যাট থেকে।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন দিপ্তী ও শেফালি ভার্মা। মানি ২টি এবং আনুশা একটি উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে স্মৃতি মান্দানা এবং শেফালি যোগ করেন ৩৩ রান। এরপরই তারা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে। শেফালি সর্বোচ্চ ১৯, মান্দানা ১৩, ইয়াস্তিকা ভাটিয়া ১১, দিপ্তী শর্মা ১০ এবং আমানজত কৌর ১৪ রান করেন। নির্ধারিত ওভারে তারা সংগ্রহ করে ৯৫ রান। সেই রানও বাংলাদেশ টপকাতে ব্যর্থ।
বাংলাদেশের হয়ে সুলতানা খাতুন সর্বোচ্চ ৩টি এবং ফাহিমার শিকার দুই উইকেট। এছাড়া মারুফা আক্তার, নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খান একটি করে উইকেট নেন।
খুলনা গেজেট/এসজেড