ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারালেও পাওয়ার-প্লে শেষে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় শ্রীলঙ্কা। দুই মেন্ডিসই ঝড় চালিয়েছেন তাসকিন-মেহেদীদের ওপর। প্রথম তিন ওভারে ১ উইকেটে মাত্র ৮ রান নেওয়া শ্রীলঙ্কা পরের তিন ওভারে তোলে ৪১ রান। ফলে প্রথম পাওয়ার-প্লে শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৯/১। এমন অবস্থায় ব্রেকথ্রু দরকার ছিল স্বাগতিকদের। নিজের প্রথম ওভারেই সেই চাওয়া পূরণ করলেন সৌম্য সরকার।
তার ডেলিভারিটা ছিল অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে। সেই লেংথ বলে ব্যাট চালিয়ে কট বিহাইন্ড কুশল মেন্ডিস, কিছুটা বাড়তি বাউন্সেই এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ধরা খেয়েছেন। তার বিদায়ে কামিন্দু মেন্ডিসের সঙ্গে গড়া ৬৬ রানের জুটি ভাঙল। ফেরার আগে কুশল মেন্ডিস ২২ বলে ৩৬ রানে করেছেন। ৬৭ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হলো লঙ্কানদের।
জুটি ভাঙলেও ব্যাটিংয়ে ঝড় থামাননি কামিন্দু। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের বলে ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন। পরের বলে পয়েন্টে বল ঠেলে রান নিতে গিয়েই ফাঁদে আটকান কামিন্দু। সেখানে থাকা শেখ মেহেদীর ছুঁড়ে দেওয়া বলে অনায়াসে স্টাম্প ভাঙেন রিশাদ। ১০ রানের ব্যবধানে টাইগার ভক্তরা দ্বিতীয়বার উল্লাসে মাতেন। ২৭ বল মোকাবিলায় কামিন্দু ৩৭ রান করেছেন ৩টি চার ও দুই ছক্কায়।
৯.৪ ওভারে ৭৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা। তাদের রানের লাগাম ধরে রাখতে শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে হবে বাংলাদেশকে। এখন পর্যন্ত বেশ খরুচে বল করেছেন তাসকিন ও মুস্তাফিজ। যদিও শুরুতে তাসকিন প্রথম উইকেটে ওপেনার আভিষ্কাকে ফিরিয়েছিলেন। এরপর কিছুটা লাইনচ্যুত বোলিংয়ে একের পর এক বাউন্ডারি দিয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। মাঝে মুস্তাফিজ এসেও এক ওভারে দেন ১৫ রান।