খুলনার ডুমুরিয়ার ঈমাম উলামা পরিষদ নিঃস্বার্থভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনায় মৃত ব্যক্তিদের দাফন করে আসছে। গত ১৮মাস ধরে এ কাজে অংশ নিয়েছে ২৫ জন নারী পুরুষ। প্রায় ১শ মরদেহ ইতিমধ্যে তারা দাফন সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে দুটি সনাতন ধর্মের মরদেহের সৎকার সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা যায়।
ডুমুরিয়া ঈমাম পরিষদের আহবায়ক হাফেজ মোঃ ওয়াহেদুজ্জামান ও সদস্য সচিব মাওঃ মুফতি ফজলুল করিম জানান, ২০২০ সাল থেকে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মানুষ মরতে থাকে। তখন অনেক জায়গায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীকে দাফন করতে আত্মীয় স্বজন ও গ্রামবাসী ভয় পাচ্ছে। পিতামাতার লাশ ফেলে পালাচ্ছে পুত্র এমন খবর শোনা যায়। ঠিক সেই সময় ঈমানী শক্তি ধারণ করে করোনায় মৃত ব্যক্তিদের দাফন ও সৎকারের উদ্দেশ্যে ১৯ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী নিয়ে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট “ঈমাম উলামা পরিষদ নামে” একটি স্বেচ্ছাসেবী টিম গঠন করে তারা।
সেই থেকে খুলনা গোপালগঞ্জ, সাতক্ষীরা, যশোর, পিরোজপুর ও নড়াইলসহ বিভিন্ন জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া লাশ দাফন করে আসছে তারা। এভাবে গত ৮ আগষ্ট পর্যন্ত ৮৯জন মুসলিমের দাফন ও ২ জন হিন্দু সৎকার সম্পন্ন করেছেন।
তারা আরও জানায় বেশিরভাগ লাশের গোসল সম্পন্ন করা হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের সামনে খোলা আকাশের নিচে। সেখানে কোন গোসলখানা না থাকায় রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে অতিকষ্টে গোসল কাজ সম্পন্ন করে। তাদের কোন নিজস্ব গাড়ি না থাকায় দূরের লাশ দাফন করতে যেতে অনেক কষ্ট হয়। এছাড়া পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী (পিপি,স্যানিটাইজারসহ অন্যান্য উপকরণ) না থাকায় ঝুঁকির মাত্রা বেড়ে যায়। তারপরও থেমে নেই তাদের কার্যক্রম।
খুলনা গেজেট/ এস আই