খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার পুরানো কোর্ট ভবনে অবস্থিত সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলা পরিষদ এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। প্রতিনিয়ত ভবনের ছাদের প্লাস্টার খসে পড়ছে। উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার এবং উক্ত দপ্তরের ১৩ জন কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে সরকারি দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা যায়, উপজেলা পরিষদ প্রবর্তনের পর ১৯৮৫ সালে তৎকালীন এরশাদ সরকার উপজেলা পর্যায়ে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভবনটি নির্মিত হয়। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় ভবনটি পড়ে ছিলো। ইতিপূর্বে দিঘলিয়া উপজেলাধীন সকল জমি ক্রয় বিক্রয় এর দলিল রেজিস্ট্রির কাজ নগরীর দৌলতপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সম্পন্ন হতো। ২০১৪ সালের ৫ মার্চ থেকে ভবনটির ৫ টি কক্ষে দিঘলিয়া উপজেলা সাব -রেজিস্ট্রারের দপ্তর হিসেবে কার্যক্রম শুরু হয়।
সপ্তাহে দুই দিন প্রায় আড়াই শ’ জমির দলিল এখানে রেজিস্ট্রি হয়। জমির দলিল রেজিস্ট্রির এজলাস কক্ষটি আরো বেশী ঝুঁকিপূর্ণ। দলিল রেজিস্ট্রি করাকালীন এজলাস ভবনটি দলিল লেখক এবং দলিল রেজিস্ট্রি করতে আসা লোকজনে ভরপুর থাকে। উক্ত সময়ে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে বহু মানুষের প্রাণহানীর সম্ভাবনা রয়ে যায়।
ভবনটি পরিত্যক্ত হওয়ার কারণে রেকর্ড রুমে থাকা জমি রেজিস্ট্রির গুরুত্বপূর্ণ দলিল এবং এ সংক্রান্ত অন্যান্য কাগজপত্র ড্যাম হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ মারুফুল ইসলাম খুলনা গেজেটকে বলেন, ইতিমধ্যে আমরা উপজেলা পরিষদ এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য আমরা প্রস্তাবনা পাঠিয়েছিলাম। প্রস্তাবনা অনুমোদন হয়েছে। এখন উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নতুন ভবন নির্মাণ টেন্ডারের অপেক্ষায় রয়েছে। আশা করি দ্রুতই টেন্ডার হবে।
উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসার শুভ্রা রানী বাড়ৈ খুলনা গেজেটকে বলেন, পরিত্যক্ত এবং ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনটিতে আমি এবং আমার ১৩ জন কর্মচারী চরম ঝুঁকি নিয়ে সরকারি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদানের পর থেকে আমি দুইবার জেলা রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি। কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে উপজেলা পরিষদের আশেপাশের এলাকায় আমাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভাড়ায় ভবন খোঁজ করছি। ভাড়ায় ভবন পেলে দ্রুতই আমরা সেখানে স্থানান্তরিত হব।
খুলনা গেজেট/এএ