খুলনা, বাংলাদেশ | ২৯ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৪ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারকে প্রধান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের অনুমোদন দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়, অচিরেই বিচার কাজ শুরু হবে : আইন উপদেষ্টা

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে স্বাস্থ্য সেবা, দুর্ঘটনায় শিশু আহত

নিতিশ সানা, কয়রা

খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভবনের ছাদ ধসে পড়ে আয়েশা খাতুন নামে আড়াই বছরের এক শিশু আহত হয়েছে। রবিবার (৩০ অক্টোবর) তার মায়ের সাথে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সেবা নিতে আসলে বেলা ১১ টার দিকে ভবনের ছাদ ধসে পড়ে আহত হন। আয়শা কয়রা সদর ইউনিয়নের মদিনাবাদ গ্রামের তফসিল অফিস সংলগ্ন আফজাল মাঝির কন্যা।

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভবনটি ১৯৮৬ সালে নির্মিত। এরই মধ্যে ভবনের অনেক জায়গায় পলেস্তারা উঠে গেছে। খসে পড়ছে ভবনের ছাদ ও পিলারের নির্মাণ সামগ্রী। দেয়ালের চারপাশে দেখা দিয়েছে ফাটল। এমনই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ইউনিয়নের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা । বিকল্প উপায় না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই সেখানে চিকিৎসা সেবা দিতে ও নিতে বাধ্য হচ্ছেন স্বাস্থকর্মী ও স্থানীয় জনসাধারণ।

আহত শিশুর মা নাছিমা খাতুন জানান, জ্বর, শ্বর্দি-কাশি জনিত কারণে সন্তানকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসেন তিনি, ডাক্তারের কক্ষে রোগী থাকায় মেয়েকে নিয়ে ভবনের ছাদের নিচে বেঞ্চে বসে ছিলেন। হঠাৎ ভবনের ছাদ ধসে পড়ে মেয়ের মাথা কেটে গেছে। অনেক কেটে যাওয়ায় চিকিৎসক ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে। চিকিৎসা দেওয়ায় এখন মেয়ে কিছুটা সুস্থ রয়েছে।
ছবিরন খাতুন (৪৬)। তিনিও চিকিৎসা নিতে এসেছেন। হঠাৎ ছাদ ধসে পড়তে দেখে দৌড়ে বাইরে চলে যান। ভয়ে আর ভিতরে ঢোকার সাহস পাচ্ছেন না। তাই ডাক্তার না দেখিয়ে চলে যাচ্ছেন। সরেজমিন যেয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম (খোকা) বলেন, যখন তখন ভবনের ছাদ ধসে পড়ছে। আজ একটা ছোট্ট শিশুর মাথায় ছাদ ধসে পড়তে দেখে পাশে থাকা একজন আটকানোর চেষ্টা করেও পারিনি। পলেস্তার শিশুটির মাথায় পড়ায় মারাত্মক জখম হয়।

কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা আমেনা খাতুন বলেন, ভবনটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় সেখানে বসে দায়িত্ব পালন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আজ সকালে চিকিৎসা নিতে আসা একটা শিশুর মাথায় ছাদ ধসে পড়ে তার মাথা কেটে যায়। আমরা তাকে চিকিৎসা দিচ্ছি। এখন সুস্থ আছেন। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন তবুও মানুষের সেবার কথা বিবেচনা করে ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিচ্ছি।
কেন্দ্রের দায়িত্বরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাঃ নিমাই চন্দ্র মন্ডল বলেন, রোগী দেখছিলাম এমন সময় হঠাৎ করে একটা শব্দ হয়। বাইরে বের হয়ে দেখি একটা শিশুর মাথায় ছাদ ধসে পড়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে চিকিৎসা দিয়েছি। শিশুটি এখন সুস্থ আছেন। কিছুক্ষণ পরে আমি চেয়ার থেকে উঠে বাইরে আসতেই আমার চেয়ারের উপর ছাদ ধসে পড়ে। উঠে না আসলে হয়ত আমিও আহত হতাম।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!