যশোর ঝিকরগাছা পৌরসভায় দীর্ঘ ২১ বছর পর রোববার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাপক উৎসব ও আনন্দমুখর পরিবেশে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ৯টি ওয়ার্ডের ১৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে।
এদিকে রাত ৮টায় সর্বশেষ বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল পেয়ে ৭ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কম্পিউটার প্রতীকের ইমরান হাসান সামাদ নিপুন পেয়েছেন ৬ হাজার ১২৬ ভোট। রাতে ভোট গণনা শেষে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জন, কাউন্সিলর পদে ৬৪ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ২৫ হাজার ৯৯৪ জন ভোটার ১৪টি কেন্দ্রের ৮৬টি ভোটগ্রহণ কক্ষে ভোট প্রদান করেন। সবগুলোতেই ইভিএমে ভোট নেয়া হয়েছে।
২১ বছর পর ঝিকরগাছা পৌরসভার নির্বাচন হওয়ায় পৌর এলাকা জুড়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল ভোটারদের মাঝে।
নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে নয়টি ওয়ার্ডের কেন্দ্রে ৫শ’ ৪৫ জন পুলিশ সদস্য ছাড়াও মোতায়েন ছিল বিজিবি, র্যাব ও আনসার সদস্যরা।
এর বাইরে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্টাইকিং ফোর্স ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।
এদিকে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ১০ জন নৌকার এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে আটক করেন।
সূত্র জানায়, ১৯৯৮ সালের ৪ এপ্রিল যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসভার যাত্রা শুরু হয়। এই পৌরসভার ভোটাররা প্রথম ও সর্বশেষ ভোট দেন ২০০১ সালের ২ এপ্রিল। ৫ বছর পর ২০০৬ সালের ১২ মে এ পৌরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। এ সময় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই (২০০৬ সালে) সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন ঝিকরগাছার পৌরসভার কাওরিয়া গ্রামের মৃত মোয়ালেম আলির ছেলে শাহিনুর রহমান, মল্লিকপুরের মৃত উলিউল্লাহ মুনসীর ছেলে সাইফুজ্জামান এবং বামনআলী গ্রামের মৃত নেয়াব মোড়লের ছেলে সাহাদত হোসেন। তিনটি মামলার বাদী তিনজন হলেও মামলার বিষয় ছিল একই।
এ কারণে আদালত নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা দেয়। পরবর্তীতে সব বাধা কাটিয়ে এদিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।