যশোর ঝিকরগাছার বেনেয়ালী গ্রামে মাসুম বিল্লাহ হত্যা মামলায় আটক হাসান আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি একই গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে। ঘর থেকে ছাগল চুরির সময় মাসুমকে ধরে মারপিট করায় তিনি মারা যান বলে জানান হাসান। এ ঘটনায় এলাকার আরও ১৪/১৫ জন জড়িত বলে তিনি জানান।
শনিবার (৩ জুলাই) জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুদ্দীন হোসাইন আসামির এ জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আটক হাসান আলী জানান, চলতি বছরের ২১ মে গভীররাতে ছাগলের ঘরে শব্দ শুনে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। দ্রুত গিয়ে তিনি এক যুবককে ঘরের মধ্যে দেখতে পান। এ সময় চিৎকার দিলে প্রতিবেশী বেশ কয়েকজন তার বাড়ি আসে। তারা ছাগল চোরকে ধরে মারপিট করে। এক পর্যায়ে ওই চোর গুরুতর আহত অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে বেলতলা মাঠের যশোর-বেনাপোল সড়কের পাশে ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনার সাথে আটক সেলিম, শহিদুল শুভ, রাসেল, রাজু, সবুর, জুয়েলসহ ১৪/১৫ জন জড়িত বলে জানিয়েছে হাসান আলী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মাসুম বিল্লাহ মণিরামপুরের মাহমুদকাঠি গ্রামের মোতালেব জমাদ্দারের ছেলে। তিনি ঢাকায় ছিলেন। চলতি বছরের ৭ মে ঢাকা থেকে বাড়ি এসে কৃষিকাজ করতেন। ২১ মে বিকেলে মাসুম বিল্লাহ বেনাপোলের কাগজপুকুর গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়ানোর উদ্দেশ্যে বের হন। ওইদিন গভীররাতে স্বজনরা জানতে পারে যশোর-বেনাপোল সড়কের পাশে মাসুম বিল্লাহ মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ শনাক্ত করেন।
এ ব্যাপারে নিহতের পিতা মোতালেব জমাদ্দার বাদী হয়ে হাসান আলী ও তার স্ত্রীর নাম উল্লেখসহ অপরিচিতদের আসামি করে ঝিরগাছার থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনিছুর রহমান হত্যার সাথে জড়িত থাকায় হাসান আলীকে আটক করে শনিবার আদালতে সোপর্দ করেন। তিনি ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ওই জবানবন্দি দিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি