খুলনা, বাংলাদেশ | ২৭ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১২ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে তিন ধাপ পিছিয়ে ৮৪তম বাংলাদেশ
  দীপ্ত টিভির তামিম হত্যা: ৫ আসামি ৪ দিনের রিমান্ডে

জোয়ার-ভাটায় রেনু-পোনাতেই চলে তাদের সংসার

নিজস্ব প্রতিবেদক

নদীতে ভাটার টান। তীরে একদল নারী-পুরুষ টানছেন নেট জাল। দূর থেকে জাল টানতে দেখা গেলেও কী মাছ ধরছেন তা বোঝার উপায় নেই। নদীর তীরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত জাল টেনে চলেছেন। মাঝে-মধ্যে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে জালে আটকে পড়া ক্ষুদ্র আকৃতির গলদা চিংড়ির রেণু ও বাগদার পোনা নদীর চরে রাখা গামলাতে উঠিয়ে রাখছেন।

এমনই দৃশ্যের দেখা মেলে দাকোপের মোজামনগর খেয়াঘাট সংলগ্ন শিবসা নদীর তীরে। প্রতিদিন ভাটার শুরুতেই নদীতে নেমে শেষ পর্যন্ত এভাবে গলদা ও বাগদার পোনা ধরেন তারা।

মঙ্গলবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মোজামনগর খেয়াঘাটের পাশে পোনা ধরছিলেন ইবাদুল হক (৫২)। তিনি বলেন, জোয়ার ভাটার ওপর নির্ভর করে গলদা চিংড়ির রেণু ও বাগদার পোনা ধরা হয়। প্রতিদিন ভাটার শুরুতে নদীতে নামি আর শেষ পর্যন্ত মাছের রেণু ধরি। এখান থেকে যে পোনা পাওয়া যায় সেগুলো আড়তে যেয়ে বিক্রি করি। প্রতি পিস রেণু এক টাকা করে বিক্রি করি। এতে দৈনিক ১০০ থেকে ২০০ টাকা আয় হয়। কোনো কোনো দিন কম-বেশিও হয়।

তিনি বলেন, কখনো সাত-সকালে আবার কখনো রাতের বেলায় রেণু ধরতে হয়। এই দিয়ে এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রীসহ চার সদস্যের সংসার চলে আমার। মাঝে-মধ্যে কৃষি কাজও করতে হয়। তবে মাছের পোনা ধরে বাজারে বিক্রি করে সংসার চলাতে হয়।

শুধু ইবাদুল নয়, মুহিতুর, শাহিদা খাতুনসহ অসংখ্য মানুষ নদীতে রেণু ধরে উপার্জন করেন।

মোজমনগর ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা পাইকগাছার গড়ইখালী ইউনিয়নের ফকিরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা মো. আবু মুসা সরদার বলেন, ভাটার সময়ে জেলেরা নেট জাল দিয়ে গলদা রেণু ও বাগদা পোনা ধরে। এই রেণু ও পোনা নিয়ে আড়তে বিক্রি করি। সেখান থেকে ব্যবসায়ীরা রেণু ও পোনা কিনে ঘেরে ছেড়ে দেন। এসব রেণু ও পোনা বিক্রি করে তাদের সংসার চলে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!