খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২০ মে, ২০২৪

Breaking News

  হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিঁখোজ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসি
  বাজারে থাকা এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ, বাজারজাতকারীকে ১৬ লাক টাকা জরিমানা
এক গ্রামে ২২০টি প্রতিমা দেবী বরণ

জেলার সর্ব বৃহৎ পূজা মন্ডপ কলারোয়ার দেয়াড়ায়

জুলফিকার আলী, কলারোয়া

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তি প্রতিষ্ঠায় (৩০সেপ্টেম্বর) অর্থাৎ শুক্রবার
পঞ্চমী মর্ত্যে আগমন ঘটবে দুর্গাতিনাশিনী দেবীর। একই সাথে মহাষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে এবছরের শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হচ্ছে। এরআগে গত ২৫সেপ্টেম্বর শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আগমনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছিলো। কলারোয়া উপজেলায় ৪৬টি মন্ডপে মহাষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে এক সাথে
দূর্গাপূজা শুরু হচ্ছে।

তবে, সাতক্ষীরার জেলার আলোচিত দেয়াড়া ইউনিয়নের ঘোষপাড়া মন্দিরে এবছর ২২০টি প্রতিমা দিয়ে দেবী দূর্গাকে বরণ করছেন। ইতিমধ্যে মন্ডপটি সাতক্ষীরা জেলার সর্ব বৃহৎ ও আকর্ষণীয় পূজা মন্ডপ হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন। তিন মাস যাবত ১০জন প্রতিমা শিল্পীর নিপুন কারুকাজ ও রং-তুলির নরম পরশে ঘোষপাড়া মন্দিরের প্রতীমা গুলি দেখলে মনে হবে এখানে দেব-দেবীদের মিলন মেলা হচ্ছে। এছাড়া দেবী দুর্গাকে মোহনীয় সাজে সজ্জিত করাসহ প্রধান সড়কের একাধিক স্থানে রাজকীয় ফটক নির্মাণ করা হয়েছে।

দেয়াড়া ঘোষপাড়া মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী শংকর কুমার ঘোষ জানান, দেবীর আগমন উপলক্ষ্যে আমাদের মন্ডপে ২২০টি প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, পৃথিবীর সকল দুর্গতীর অবসান ঘটিয়ে শান্তির বার্তা নিয়ে কৈশাল থেকে দেবী দুর্গার মর্ত্যে আবির্ভাব ঘটেছে। যার জন্যই তিনি দুর্গাতিনাশিনী। প্রতি বছর দেবীকে বরণ আর বেদনার মধ্য দিয়ে দেবীকে বিদায় দেয়ার জন্য আমরা এই দিনের অপেক্ষায় থাকি। তবে জেলার সর্ব বৃহৎ ২২০টি প্রতিমা তৈরীর বিষয়ে বলেন, দেবী দুর্গাকে বরণ করার জন্য এই আয়োজন করা হয়েছে। আর এই বিশাল আয়োজনের আর্থিক সহায়তা করছেন মন্দির
কমিটির সভাপতি ও বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী ‘সাতক্ষীরা যাদব ঘোষ ডেয়ারী’র পরিচালক সমীরণ ঘোষ।

কলারোয়া উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু মনোরঞ্জন সাহা জানান, এবছর উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নে মোট ৪৬টি পূজামন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে পৌরসদরে ৮টি এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ৩৮টি পূজামন্ডপে দূর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পঞ্জিকামতে, এবছর জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দূর্গা আগমন করেছেন গজে আর গমন নৌকায়। আগামী ৫অক্টোবর দশমীতে প্রতীমা বির্ষজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবছরের দুর্গোৎসব। তবে উপজেলার দেয়াড়া ঘোষপাড়া মন্ডপে ২২০টি প্রতীমা তৈরী করে দেবীকে বরণ করার বিষয়টি জেলার মধ্যে অনুষ্ঠিত শ্রেষ্ঠ
দুর্গোউৎসব বলে দাবি করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস জানান, শারদীয় দূর্গা উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপ্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি মন্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে তৎপর থাকবে পুলিশ। এছাড়াও মন্ডপে থাকছে আনসার সদস্য, গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদল।

কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাছির উদ্দীন মৃধা জানান, উপজেলায় শারদীয় দূর্গাপূজা আনান্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য আইন শৃংখলা বাহিনী সকল ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটি পূজা মন্ডপের নিয়মিত মনিটরিং করা এবং মন্ডপ গুলোতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, দূর্গা পূজা সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্নের জন্য ইতিমধ্যে উপজেলায় পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!