যশোরের চৌগাছার প্রবীণ জুয়েলারি ব্যবসায়ী উত্তম জুয়েলার্সের মালিক ধীরেন্দ্র নাথ দে অপহরণ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে চৌগাছা-যশোর সড়কের খাদ্য গুদামের সামনে হতে একটি মাইক্রোবাসে তাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর হতে অপহরণকারীরা ব্যবসায়ী ধীরেন্দ্র নাথের ছেলের মোবাইলে ফোন করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে।
অপহরণের স্বীকার ধীরেন্দ্র নাথ দে’র ভাই রতন কুমার দে বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে দাদা হাটতে বের হয়। যশোর সড়কে খাদ্য গুদামের সামনে পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস তার কাছে পৌছে থেমে যায় এবং দাদাকে ধাক্কা দিয়ে মাইক্রোতে তুলে নিয়ে যশোর অভিমুখে চলে যায়। খবর পেয়ে আমরা সকলেই দাদার বাজারস্থ বাসায় ছুটে আসি।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএ সালাম, চৌগাছা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সাবেক মেয়র সেলিম রেজা আওলিয়া, বিএনপি নেতা আতাউর রহমান লাল, জামায়াত নেতা মাষ্টার কামাল আহমেদ, ব্যবসায়ী গোবিন্দ কুমারসহ অনেকেই এই খবর পেয়ে ব্যবসায়ী ধীরেন্দ্র নাথ দের বাসার সামনে ছুটে আসেন এবং ঘটনা শুনে হতবাক হয়ে যান।
অপহরনের খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ছুটে আসেন ব্যবসায়ী ধীরেন্দ্র নাথ দের বাসাতে। পুলিশ সমস্ত ঘটনা শুনে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করতে শুরু করেন।
ধীরেন্দ্র নাথ দের স্বজনরা জানান, অপহরনকারীরা ধীরেনের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার ছেলে উত্তম কুমার দের নিকট ফোন করে প্রথমে ১০ কিছুক্ষন পর ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। যদি টাকা ম্যানেজ করতে দেরি হয় তাহলে স্বর্ণলংকার নিয়ে ছেলে উত্তম কুমারকে একাকি যশোর আসতে বলা হয়। যশোরে এসে ফোন দিলে ঠিকানা দিবে সেখানে টাকা বা স্বর্ণ পৌছে দিতে হবে। প্রবীণ ব্যবসায়ী ধীরেন্দ্র নাথ দে অপহরণের খবরে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে গোটা চৌগাছা বাজার এলাকাতে। অনেক ব্যবসায়ী দ্রুত ব্যবসা বন্ধ করে দেন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএ সালাম বলেন, খবর পেয়ে আমি দ্রুত ভুক্তভোগীর বাসাতে চলে আসি এবং স্বজনদের নিকট হতে ঘটনা জানার পর থানা পুলিশসহ সম্ভাব্য সকল জায়গায় খবরটি পৌছে দিয়েছি। ঘটনা উদঘটনে আমরা চেষ্টা করছি।
থানা অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন, অপহরণের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুতই কাজ শুরু করেছে। অপহরণের শিকার ব্যবসায়ীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ব্যবসায়ী ধীরেন্দ্র নাথকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে।
খুলনা গেজেট/এএজে