খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ পৌষ, ১৪৩১ | ৮ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া
  ২০২৪ সালে সড়কে নিহত ৭ হাজার ২৯৪, আহত ১২ হাজার ১৯ জন : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
  সাবেক আইজিপি বেনজীরের স্ত্রী-মেয়ের আয়কর নথি জব্দের আদেশ

জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে অপহরণের ৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার, আটক ২

গেজেট ডেস্ক 

যশোরের চৌগাছা পৌর শহরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী ধীরেন্দ্র নাথকে অপহরণের ৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় দু’ অপহরণকারীকে আটক করে চৌগাছা থানা পুলিশ। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চৌগাছা-যশোর সড়কের খাদ্য গুদামের সামনে থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে তাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

অপহরণ হওয়া ধীরেন চৌগাছা শহরের স্বর্ণপট্রির উত্তম জুয়েলার্সের মালিক।

অপহরণ হওয়া ধীরেনের স্ত্রী পদ্মরানীদে জানান, তিনি শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ। দোকানে বসতে পারেন না। এখন দোকানে বড় ছেলে বসে। সন্ধ্যার আগে তিনি বাসা থেকে বেরিয়ে দোকানে যান। ছেলেকে দোকান বন্ধ করতে বলে বাড়িতে আসেন। পরে ছেলের বাড়িতে আসতে দেরি হচ্ছে দেখে তিনি সন্ধ্যার পর আবারো দোকানে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। দোকান বন্ধ করে ছেলে বাড়ি এলে আমি তাকে বলি তোর বাবা কই?। ছেলে আমাকে বলে বাবা তো পরে দোকানে যাননি। তখন আমি তাকে বলি তোর বাবাকে ফোন দে। সে কল দিলে ফোনটি বন্ধ দেখায়। আমার ছেলেকে বলি তোর বাবা খুব অসুস্থ খুঁজে বাড়িতে নিয়ে আয়।

খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে জানতে পারি, সন্ধ্যার পর শহরের যশোর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাসে করে কেবা কারা তুলে নিয়ে গেছে।

ধীরেনের ছেলে উত্তম কুমার দে বলেন, ‘আমার বাবাকে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে গেছে। গত সোমবার আমাদের দোকানে হালখাতা ছিল। অনেকে হালখাতার বিষয়টি জানেন। সন্ত্রাসীরা সেই হালখাতার টাকার জন্য হয়তো বাবাকে অপহরণ করতে পারে। তারা বাবার মোবাইল থেকে আমার কাছে ফোন করে ২০ লাখ টাকা দাবি করেছিল।’

খবর পেয়ে অপহরণ হওয়া ধীরেন্দ্র নাথের বাড়িতে ছুটে আসেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ ছালাম, উপজেলা জামায়াতে সহকারী সেক্রেটারি মাস্টার কামাল আহমেদ, বিএনপি নেতা আতাউর রহমান লাল, গোবিন্দ কুমার রাহা ও প্রেসক্লাব চৌগাছা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ রহিম প্রমুখ।

চৌগাছা থানার ওসি কামাল হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য অভিযান শুরু করি। তাকে উদ্ধারের জন্য চৌগাছা থানা পুলিশের তিনটি টিম কাজ করে। মুক্তিপণের টাকা নিয়ে যাওয়া গাড়িটি ফলো করতে থাকি। অপহরণকারীরা আমাদের পাতা ফাঁদে ধরা পড়ে।’

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!