খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, রাজি পাকিস্তান; ভারতের ম্যাচ দুবাইয়ে : বিসিবিআই সূত্র
  গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত, গুম কমিশনের সুপারিশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে
সাতক্ষীরায় জনসম্মিলন

জি-২০ সম্মেলনে ধনী দেশগুলোর কাছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবস্থা বাস্তবায়নের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য শিল্পোন্নত দেশগুলোর সংগঠন জি-২০ সম্মেলনকে সামনে রেখে ‘কয়লা, গ্যাস বা হাইড্রোজেন নয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অর্থায়ন চাই’এই দাবিতে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে জনসম্মিলন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্বদেশ, ক্লিন, বিডব্লিউজিইিডি গ্রোথ ওয়াচ যৌথভাবে এই জনসম্মিলনের আয়োজন করে।

স্বদেশ’র নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্তের সভাপতিত্বে জনসম্মিলনীতে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষাবিদ প্রফেসর আবদুল হামিদ, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক এড. আজাদ হোসেন বেলাল, দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক ও নাগরিক নেতা আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ জাসদ, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, ভূমিহীন নেতা আবদুস সামাদ, সাবেক কাউন্সিলার ফরিদা আক্তার বিউটি, নদী-খাল-জলাশয় রক্ষা আন্দোলনের নেতা আদিত্য মল্লিক, মফিজুর রহমান, বৈশাখী পাল, হরিজন নেতা গৌরপদ দাশ, উন্নয়নকর্মী সাকিবুর রহমান, লুইস রানা গাইন, মহিদা মিজান, সাংস্কৃতিককর্মী মোসফিকুর রহমান মিল্টন প্রমুখ।

জনসম্মিলনে অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশে বিগত দেড় দশক ধরে জ্বালানি খাতে অরাজকতা চলছে। বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে ব্যবসার ৮০ শতাংশ জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর সাথে হয়ে থাকে। এর মধ্যে এশিয় অঞ্চলের ৬টি দেশ থেকে বাংলাদেশ জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে। বক্তারা বাংলাদেশে কয়লা, গ্যাস বা হাইডোজেন নয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অর্থায়নের দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের জীবাশ্ম জ্বালানির দরকার নেই, আমাদের দরকার-নবায়নযোগ্য জ্বালানি। সেজন্য নেতৃবৃন্দ জি-২০ সম্মেলনে এই বিষয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জোর দাবি জানান। এছাড়া বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ভাড়ায় চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় জনগণের টাকা লুটপাট হচ্ছে।

একদিকে, বিশ্বের উন্নত ধনী রাষ্ট্রগুলো অধিক পরিমাণে জ্বালানি ব্যবহার করে কার্বন নিঃসরণ করছে। সেই কার্বন দূষণের খেশরাত দিতে হয় তৃতীয় বিশ্বের গরিব দেশগুলোর সাধারণ মানুষকে। অপরদিকে, ধনী দেশগুলো থেকে ঋণ নিয়ে বাংলাদেশসহ দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলো কয়লা, ডিজেল ও ফার্নেস তেলাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থাপন করছে। এর ফলে এসব গরিব উন্নয়নশীল দেশে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে অরাজকতা চলছে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খরবগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে কি পরিমাণ সরকারি অর্থ তছরুপ হচ্ছে বিদ্যুৎ খাতে। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে দূর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ এবং জি-২০ সম্মেলনে আগত বিশ্ব নেতাদের কাছে বিভিন্ন দাবি জানিয়ে সাতক্ষীরা আলোচনা সভা ও জনসম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়।

জনসম্মিলনে সাংবাদিক, উন্নয়নকর্মী, গ্রামীণ নারী, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংস্কৃতিককমী, রোভার স্কাউট, নারী অধিকারকর্মী, পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিসহ শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাকাডসহ মুখোশ পরে জি-২০ নেতাদের কাছে বাংলাদেশর জ্বালানি খাতের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!