জামাইয়ের হাতে খুন হয়েছেন ইজিবাইক চালক রশিদ ঢালী। মাদক ব্যবসা করবেন না বলে জামাই তাকে একটি ইজিবাইকও কিনে দেন। কিন্তু পূর্বের পেশার কারণে রশিদ সে ইজিবাইকটিও বিক্রি করে দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ হয়্। আর বিরোধের জের ধরেই খুন করা হয় রশিদকে।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) আড়ংঘাটা থানা পুলিশ এ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জামাই রাশেদ শেখ ও তার ছোট ভাই রকিবুল শেখকে আটক করে। হত্যাকান্ডে নিজেদের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে তারা দু’জন। তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আহমেদ। জবানবন্দি শেষে তাদের দু’জনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো: আনিসুজ্জামান জানান, রশিদ ঢালী একজন মাদক ব্যবসায়ী। মাদকদের একটি মামলায় তার দু’বছরের সাজাও হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ফেরার জীবন যাপন করছিলেন। মাদক ব্যবসা না করার জন্য জামাই রাশেদ শেখ তাকে একটি ইজিবাইক কিনে দেন। কিছুদিন চালানোর পর রাশিদ ঢালী ওই ইজিবাইকটি বিক্রি করে দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধে। ইচ্ছা ছিল তাকে শাসিয়ে ছেড়ে দেওয়ার। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের দু’ভায়ের সাথে রশিদ গোলযোগ করার কারণে ছুরির আঘাতে তার মৃত্যু হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রফিক জানান, হত্যাকান্ডের পর নিহতের স্ত্রী ফারজানা বেগম রবিবার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পর তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর সন্দেহ বাড়তে থাকে তদন্ত কর্মকর্তার। একপর্যায়ে তার জামাতাকে খুঁজতে থাকেন পুলিশ। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে রকিবুলকে দৌলতপুর কবিরের বটতলা ও রাশেদ শেখকে খানজাহান আলী থানার জাবদিপুর থেকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আটকের পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকন্ডে কারণ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চাইলে বিকেলে আদালতে উপস্থিত করা হয়।
এর আগে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি তাদের দু’ভাইয়ের দেখানো স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়। ছুরিটি তারা দৌলতপুর বাজারের একটি দোকান থেকে ক্রয় করেছিল।
গ্রেপ্তার হওয়া রকিবুল ও তার ভাই রাশেদ শেখ দৌলতপুর থানা এলাকার তোজাম শেখের ছেলে।
খুলনা গেজেট/ টি আই