‘দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, ভাত ও ভোটের অধিকার হারিয়েছে। হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে এ সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে জাতীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ সংষদ নির্বাচন দিতে হবে।’
শনিবার বেলা ১১টায় স্থানীয় উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে নগর নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি উপস্থাপন করেন। নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন।
সভায় দশম সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। একাদশ সংসদ নির্বাচনে রাতের বেলা ব্যালট পেপার বাক্সে ঢুকিয়ে আওয়ামী লীগ নিজেরাই বিজয় ঘোষণা করে। এক্ষেত্রে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সহায়তা করে। নেতৃবৃন্দ বলেন, ঘুষ, দুর্নীতি, ধর্ষণ, হত্যা ও গুম নিত্যদিনের দাঁড়িয়েছে। সংবিধানকে বারবার সংশোধন করেও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। মানুষ ন্যায় বিচার পায়নি। ৭২ সালের তুলনায় ২০২১ সালে কোটিপতির সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ মানুষ আরও দরিদ্র হয়েছে। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে অপসারণ করতে হবে।
দলের কেন্দ্রীয় সদস্য ও নগর শাখার আহ্বায়ক এড. ড. মো: জাকির হোসেন এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন কলারোয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর এম এ মজিদ খান, সুন্দরবন কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস এড. এম মাফতুন আহমেদ, নগর নাগরিক নারী ঐক্যের আহ্বায়ক এড. সাকিনা ইয়াসমিন, নগর নাগরিক ঐক্যের সদস্য এম এন আলী শিপলু, এম এ আজিম, খালিশপুর থানা শাখার সদস্য সচিব ওয়াহেদুজ্জামান সোহাগ, হরিণটানা থানার সংগঠক মো: আলী মুসা মিয়া প্রমুখ।
সভা শেষে প্রফেসর এম এ মজিদ খানকে আহ্বায়ক ও এড. এম মাফতুন আহমেদকে সদস্য সচিব করে নাগরিক ঐক্যের খুলনা জেলা কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের পরবর্তী সভা আগামী ২ ডিসেম্বর।
খুলনা গেজেট/এনএম