খুলনা-মোংলা রেল লাইনের দ্বিতীয় প্যাকেজের জন্য জলপাইগুঁড়ি থেকে আনা স্লিপার ব্যবহার অযোগ্য বলে প্রতিবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। মানহীন পণ্য ব্যবহার করা হবে না বলে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সাফ জানিয়ে দিয়েছে। ফলে এ রেল লাইনের কাজ শেষ হতে আরও একটু বিলম্ব হতে পারে।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইএমইডি’র সূত্র বলেছে, যেসব মালামাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি তার মধ্যে রয়েছে- ৪০ হাজার বিজি প্রিপেইড মনো ব্লক কনক্রিট (পিএসসি) স্লিপারস ফর ফিক্সিং ইউআইসি, ছয় সেট পিএসপি স্লিপারস ফর ওয়ান ইন টুয়েল্ভ টারমাউনটস উইথ ইউআইসি ৬০ কেজি রেলস, সিএমএস ক্রসিং এন্ড কার্ভ সুইচ, ৩৫ সেট বিজি ওয়ান ইন টুয়েল্ভ টারমাউনটস উইথ ইউআইসি ৬০ কেজি রেলস অন পিএসসি স্লিপারস উইথ সিএমএস ক্রসিং, ২৩ সেট বিজি ওয়ান ইন ৮ দশমিক ৫ টারমাউনটস উইথ ইউআইসি ৬০ কেজি রেলস অন পিএসসি স্লিপারস উইথ সিএমএস ক্রসিং। মানহীন পণ্য সরবরাহের পাশাপাশি ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতাসহ নানা কারণে নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পটি শেষ হচ্ছে না। তিন বছরের প্রকল্প ১০ বছরেও শেষ হয়নি।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইএমইডি’র তথ্য মতে, চলতি বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মানহীন মালামাল সরবরাহ ও ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে তা শেষ হতে দেরি হচ্ছে।
এ প্রকল্পের পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, জলপাইগুঁড়ি থেকে আনা মানহীন স্লিপার বুয়েট বাতিল করেছে। যাচাই-বাছাই করেই বিভিন্ন সরঞ্জাম রেল লাইনে সংযোগ করা হবে। তিনি বলেন, আইএমইডি’র পরিবেক্ষণ সমীক্ষা শেষে তথ্য দেয়া হয়েছে, জলপাইগুঁড়ি থেকে আনা স্লিপার এই রেল লাইনে ব্যবহারের উপযোগী নয়। আইএমইডি’র সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী জানান, জনগণের টাকার সর্বোচ্চ ব্যবহার ও দক্ষতার মাধ্যমে মানসম্পন্ন প্রকল্প সম্পন্ন করা হবে। তিনি বলেন, কাজের গুণগত মান ঠিক রেখে গতি বাড়িয়ে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার ব্যবস্থা নেয়া ও চুক্তিপত্রের শর্তানুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঠিকাদারের আইপিসি পরিশোধ ও পরামর্শকদের বিলও সময়মত পরিশোধ করতে বলেছে আইএমইডি। তিনি বলেন, রেল মন্ত্রণালয় সব বিষয়ে সার্বিক মনিটরিং করছে। অনভিজ্ঞ সাব কন্ট্রাক্টরের কারণে প্রকল্প শেষ করতে বিলম্ব হচ্ছে বলে তিনি অভিমত দিয়েছেন।