খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪২৫

জরাজীর্ণ রেজিস্ট্রি ভবনের ছাদ ধসে পড়েছে, বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট মূল্যবান নথি

নিজস্ব প্রতিবেদক

চুন আর সুরকি দিয়ে বিট্রিশ আমলের তৈরি খুলনা সদর সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের একতলা ভবন। রিপেয়ারের অভাবে ভবনের বিভিন্ন অংশের প্লাস্টার খসে পড়ছে। এর আগে ওই ভবনের প্রশাসনিক কার্যালয়টির ছাদের প্লাস্টার সম্পূর্ণ পড়ে যায়। তখন কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে সেখানকার কর্মকর্তারা বাঁশ এবং নেটের ছাউনি দিয়ে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। নিরাপত্তাহীন ভবন জেনেও সেখানকার কর্মকর্তারা জীবন এবং জীবিকার তাগিদে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

সর্বশেষ গত কয়েকদিনের অতিবৃষ্টিতে ওই ভবনের ছাদের মাঝ অংশ ভেঙ্গে পড়ে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও বৃষ্টিতে সেখাকার কয়েক শত বই পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। তা পুনরুদ্ধারে কর্মকর্তাদের চেষ্টা চলছে। তবে সেখানকার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এভাবে আর কতক্ষণ। সবকিছুরই উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু উন্নয়ন হলো না খুলনার এই প্রাচীন ভবনটি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের পাশে রয়েছে সদর সাব রোজিস্ট্রির কার্যালয়। এটি খুলনার শতবর্ষ প্রাচীন একটি ভবন। ভবনটিতে রয়েছে খুলনা এবং বাগেরহাট জেলার জমির মূল্যবান কাগজপত্র। সেখানে মানুষ জমি কেনা-বেচার দলিল নিবন্ধন সম্পন্ন করেন। গত কয়েক বছর সংস্কারের অভাবে ভবনটির বিভিন্ন অংশের দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ছে। সবশেষ গত দু’বছর আগে ওই ভবনের প্রশাসনিক কার্যালয়ের পুরো ছাদের প্লাস্টারটি খসে পড়ে গিয়ে কয়েকজন আহত হন। এখানে প্রায় দুই শত কর্মচারী কাজ করেন তারা ভয়ে ভয়ে তাদের দাপ্তরিক কাজ করেন, সবসময় আতঙ্কিত থাকেন কখন কার মাথায় প্লাষ্টার ভেঙ্গে পড়ে।

খুলনা সদর রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড কিপার মাহবুবুর রহমান জানান, ভবনটির বিভিন্ন অংশ থেকে পানি পড়ছে। ছাদের প্লাস্টার খসে খসে পড়ছে। গত কয়েকদিনের অতিবৃষ্টিতে মঙ্গলবার ভোরের দিকে ভবনটির মাঝখানের ছাদের একাংশ পড়ে যায়। ফলে বৃষ্টিতে সেখানে রাখা প্রায় শতখানেক বই পানিতে ভিজে গেছে। বৃষ্টির পানি না আসতে পারে সেজন্য ছাদের ওপর পলিথিন দিয়ে চারজন শ্রমিকের মাধ্যমে রেকর্ড রুম পরিস্কার করা হচ্ছে। আর পানিতে যে ভলিউম বইগুলো ভিজে গিয়েছে তা সংরক্ষণের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে জেলা রেজিষ্ট্রার মিজানুর রহমান জানান, এর আগেও এ ধরনের দূর্ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু সংস্কারে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নেওয়া যায় নি। আমরা অফিসটি দ্রুত কোন নিরাপদ ভবনে স্থানান্তর করতে চাচ্ছি। যেহেতু আশেপাশে কোন সরকারি ভবন খালি পাওয়া যাচ্ছে না, তাই আমাদের ভাড়া বাসার প্রয়োজন। এ বিষয়ে তিনি খুলনার সচেতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!