মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে দু’দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ শেষদিন ১৯ আগস্ট শুক্রবার বিকেল ৩টায় স্যার ইকবাল রোডস্থ (ধর্মসভা) গোলকমণি শিশু পার্কে আলোচনা সভা, বাদ্যযন্ত্র সহকারে নামসংকীর্ত্তনের মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
শোভাযাত্রা ও সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক। এ সময়ে তিনি বলেন, শ্রীকৃষ্ণ দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন ও মানবকল্যাণে যুগে যুগে অবতীর্ণ হন। আবহমানকাল থেকে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। সকল সম্প্রদায়ের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সম্প্রীতির এ বন্ধন আরও সুদৃঢ় করতে হবে। বাংলাদেশ পূজা পরিষদ খুলনা মহানগর সভাপতি শ্যামল হালদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। প্রধান অতিথি বলেন, পৃথিবীতে এক দুর্যোগময় মুহূর্তে সনাতন ধর্মের প্রাণপুরুষ শ্রীকৃষ্ণ ধরাধামে আবির্ভূত হন সকল অনাচার-অত্যাচার সমূলে ধ্বংস করে শান্তি স্থাপনের জন্য। তিনি বিভিন্ন মন্দিরের অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান অব্যাহত রাখবেন।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডি এ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত কুমার অধিকারী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সাবেক অতিরিক্ত সচিব প্রানেশ রঞ্জন সূত্রধর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্র।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা পরিষদ খুলনা জেলা সভাপতি কৃষ্ণপদ দাশ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রী শ্রী রাধামাধব মন্দির, ইসকন, গল্লামারী অধ্যক্ষ গৌড়েশ্বর নিমাই দাস ব্রহ্মচারী, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র, ভারত সেবাশ্রম, খুলনার অধ্যক্ষ ব্রহ্মচারী ধ্রুব মহারাজ, জেলা পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ দত্ত, ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সমরেশ মÐল, বিশিষ্ট ধর্মানুরাগী ও সমাজসেবক গৌতম লস্কর, মহানগর যুবলীগের আহŸায়ক সফিকুুর রহমান পলাশ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ আবু হানিফ, মহানগর সভাপতি এস এম নাসিম, মহানগর পূজা পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি অরবিন্দ সাহা, সহ-সভাপতি এড. অলোকানন্দা দাস, প্রকৌশলী পরিমল দাস, অধ্যাপক তারক চাঁদ ঢালী, জেলা পূজা পরিষদের সহ-সভাপতি রতন মিত্র, মহানগর পূজা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিলক কুমার গোস্বামী, বিশ্বজিৎ দে মিঠু, থানা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে বিকাশ কুমার সাহা, বিপ্লব সাহা লব, বিপ্লব মিত্র, রামচন্দ্র পোদ্দার, রজত কান্তি দাস, দীপক দত্ত, প্রকাশ অধিকারী, দুলাল সরকার, সুভাষ দত্ত, ডাঃ শেখর বিশ্বাস, পার্থ রায় মিঠু, মনোজ রায়, রঞ্জন রায়, আশিষ কবিরাজ। এছাড়া শোভাযাত্রা অংশগ্রহণ করেছে বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদ, তীর্থালোক সংঘ, শ্রীগুরু সংঘ, রূপসা মহাশ্মশান ও শ্মশান কালী মন্দির, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বাগমারা ঐক্যবদ্ধ নব সংঘ, গল্লামারী বিভাগীয় হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ মন্দির, বড় বয়রা কালী মন্দির, ছোট বয়রা সার্বজনীন পূজাখোলা মন্দির, আনন্দময়ী সেবাসংঘ, বয়রা কুÐুপাড়া মন্দির, খুলনা মহানগর হরিজন ঐক্য পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন। হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ বাদ্যযন্ত্র সহকারে সংকীর্তনের মধ্য দিয়ে শোভাযাত্রাটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শ্রীশ্রী শীতলাবাড়ী মন্দির প্রাঙ্গণে সমাপ্ত হয় এবং ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
এছাড়া সন্ধ্যা ৭টায় ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ১২:০১ মিনিটে শ্রীশ্রীকৃষ্ণপূজা অনুষ্ঠিত হয়।