যশোরে বিএনপির জনসমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, দেশের জনগণের এখন একটিই দাবি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। বাংলাদেশের মৃত গণতন্ত্র বাঁচাতে হলে এ দাবির কোন বিকল্প নেই।
শনিবার (২৭ মে) বিকেলে শহরের চারখাম্বা মোড়ে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথি বলেন, সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোন যোগ্যতা নেই। প্রশাসন দিয়ে ক্ষমতায় থাকার দিন শেষ হয়ে গেছে। জনতার ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে নির্বাচিত হয়ে কোরণ আপনাদের জনপ্রিয়তা কোন তলানিতে ঠেকেছে।
তিনি বলেন, দেশে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে আলোর গতিতে। অথচ প্রধানমন্ত্রী বিদেশে গিয়ে উন্নয়নের গল্প শোনাচ্ছেন। এটি দেশের মানুষের সাথে ধোকাবাজি ছাড়া কিছুই না। রিজভী বলেন, ২০০৬ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ৪০ বছর আগে ছাত্রদলের কমিটিতে কোনো একটি পদে ছিলেন বলে শেখ হাসিনা তার নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানেননি। বিএনপি আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ভোট মানবেন কীভাবে। শেখ হাসিনার অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
কেন্দ্রিয় নেতা রিজভী বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগার আর বাড়ির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। পুলিশ রাতে বাড়ি বাড়ি যায়। দিনে পিছনে লেগে থাকে। নেতাকর্মীদের এখন বাড়ি, তখন কারাগারে থাকতে হচ্ছে। গোটা দেশটায় এখন কারাগার।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে বেড়াচ্ছেন। এটি বলে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপিকে টোপ দিচ্ছেন। অথচ গাজীপুরে ৫৪ শতাংশ মানুষ কেন্দ্রেই যায়নি। একজন বৃদ্ধার কাছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হেরেছে দেখেই বোঝা যায় তাদের অবস্থান বর্তমানে কোথায়।
তিনি আরো বলেন, সংবিধানের দোহাই দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা যাবে না বলে আওয়ামী লীগ বার বার বলছে। সংবিধান কি ভারী কোনো পাথর যে সংশোধন করা যাবে না। সংবিধান মানুষের প্রয়োজনে। এ কারণে রাষ্ট্রের নাগরিকদের প্রয়োজনে এটি সংশোধন করে হলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
জনসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপিকা নার্গিস বেগম। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা সিদ্দিকী, কেন্দ্রিয় সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবিরা নাজমুল মুন্নি। বক্তৃতা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইসহক, মাগুরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব কিশোর, জেলা বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মুছা, আব্দুস সালাম আজাদ ও কাজী আজম, নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, সাবেক সম্পাদক কাজী আজম, কেশবপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বিশ্বাস, মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদ ইকবাল প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ এসজেড