সাবেক মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এস এম কামাল হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (৩ অক্টোবর) জোহর বাদ দক্ষিন টুটপাড়া বায়তুশ শরফ জামে মসজিদের সামনে জানাজার নামাজ আদায় করা হয়। জানাজা শেষে তাকে টুটপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজা দাফন দাফনকার্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক মেয়র মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্তজা, আমির এজাজ খান, জাফরুল্লাহ খান সাচ্চু, আব্দুল জলিল খান কালাম, রেহানা ঈসা, শাহ জালাল বাবলু, ফখরুল আলম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, আরিফুজ্জামান অপু, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেহেদী হাসান দিপু, মহিবুজ্জামান কচি, সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিলটন, সাংবাদিক রাশিদুল ইসলাম,সাংবাদিক সোহরাব হোসেন, সাংবাদিক আমিনুল ইসলামসহ মহানগর, থানা, ওয়ার্ড বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নামাজে জানাজা পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় কথা বলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু ।
এ সময় তিনি বলেন, ‘কামাল ছিলেন একজন দায়িত্বশীল ও নিবেদিত প্রাণ নেতা। দলের সব সংকটকালে তিনি সাহসী নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর এই অসময়ে চলে যাওয়া দলের জন্য বড় কষ্টের। কামালের মৃত্যুতে দল একজন সাহসী নেতাকে হারালো। কামালের মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হবে, তা সহজে পূরণ হবার নয়। দলের প্রতি তার অবদান বিএনপি আজীবন স্মরণে রাখবে।’
আলোচনা শেষে প্রয়াত ছাত্রনেতার কফিনে দলীয় পতাকা ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
ছাত্রনেতা কামালের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ এক শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এস এম কামাল হোসেন এর মৃত্যুতে আমি তার শোকাহত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। দোয়া করি-মহান রাব্বুল আলামীন যেন তার পরিবারবর্গকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা দান করেন। আমি এস এম কামাল হোসেন এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকার্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা’
উল্লেখ্য, এস এম কামাল হোসেন শনিবার দিনগত রাত আড়াইটায় বুকে ব্যাথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৪২ বছর। মৃত্যুকালে সে স্ত্রী, এক শিশু কন্যা, এক বোন ও মৃত ভাইয়ের স্ত্রী ও পুত্র সন্তানকে রেখে গেছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই