যশোরের চৌগাছা-মহেশপুর রোডের বর্ষাগাড়ির খালের উপর ব্রিজটির রেলিং ভেঙ্গে যাওয়ায় চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। চৌগাছা-মহেশপুর যাবার এক মাত্র রাস্তা এটি। ব্রিজটিতে বর্তমানে একটি বড় গাড়ি আসলেই আর একটি গাড়ি পিছিয়ে পার করতে হয়। এর ফলে অনেক সময় যানবাহন গুলো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়। এ ছাড়া ব্রিজটিতে চলাচলা করতে অনেক মানুষের প্রাণও চলে গেছে, অনেকে হয়েছেন পঙ্গু।
ব্রিজটি বেশ কয়েক বছরের পুরাতন হলেও রাস্তার তুলনায় অনেকটাই সরু যার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। আর একের পরে এক দুর্ঘটনার কারণে আস্তে আস্তে ভেঙ্গে গেছে ব্রিজটির মূল রেলিং। ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার না করলে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা। এ ছাড়া ব্যস্ততম এই ব্রিজটি সরু হবার ফলে প্রতিনিয়ত গভীর রাতে গাছের গুড়ি ফেলে এই জায়গায় ডাকাতি হয়।
তবে স্থানীয়রা জানান, প্রায় প্রতিনিয়তই এই ব্রিজটিতে ঘটে থাকে ছোট বড় নানান দুর্ঘটনা, এ ছাড়া এই ব্রিজটির থেকে পড়ে একাধিক ব্যক্তি হয়েছেন পঙ্গু।
সরেজমিন এই ব্রিজটিতে যেয়ে দেখা যায়, ব্রিজটির মূল রেলিং নেই। এছাড়া ছোট বড় যানবাহন গুলো কোন রকম পার হচ্ছে। সামনে থেকে একটি গাড়ি আসলে দূর থেকেই সাইড দিতে হচ্ছে।
আন্দারকোঠা গ্রামের খালেক নামের এক পথচারী বলেন, চার মাস আগে মনিরামপুর গ্রামের বেশ কিছু শ্রমিক এসেছিলো রাস্তার কাজ করতে ।ব্রিজটির পাশে কাজ করা অবস্থায় ইজি বাইকের ধাক্কায় জায়গায় নিহত হয় এক শ্রমিক।
পাশের দোকানি আনসার আলী জানান, বেশ কয়েক মাস আগে চাঁদপাড়ার বেশ কয়েকজন ছাত্র ভ্যানে চড়ে চৌগাছায় যাচ্ছিলো, এই ব্রিজটির পাশে সাইড দিতেই ভাটার ট্রাকের সাথে ধাক্কা খেয়ে পাশে পড়ে যায়। পরে এলাকাবাসির সহযোগীতায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি কার হয়।
টেংঙ্গুরপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মুনতাজ বলেন, আমরা প্রায় সময় শুনি এই জায়গায় রাতে বিভিন্ন গাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।
তবে এলাকাবাসির দাবি, ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার অতি জরুরী, তা না হলে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা।
খুলনা গেজেট/কেএম