যশোরের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার লুৎফুন্নাহারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি বিষয়ে বৃহস্পতিবার তদন্তে নামেন স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিন সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হন তদন্ত কমিটির কর্মকর্তাবৃন্দ। এরপর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশিক্ষণ হলরুমে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়।
করোনা দুর্যোগ শুরুর পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্রটি প্রকাশ্যে আসে। অনিয়ম ও দুর্নীতির ভুয়া বিল ভাউচারে স্টোরাইল গ্লাবস, মোটরসাইকেল মেরামত বিল, জেনারেটর তেলের টাকা উত্তোলনসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি তার বিরুদ্ধে উথাপিত হয়। বিষয়টি খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ জসিম উদ্দীন হাওলাদারের নজরে আসে। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৮ আগস্ট খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক তদন্ত কমিটি গঠন করেন ও সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের চিঠি পাঠান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
বৃহস্পতিবার ৭ কার্যদিবসের শেষ দিনে অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্তে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হন স্বাস্থ্য বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটির তিন সদস্য। তারা হলেন, তদন্ত বোর্ডের সভাপতি মাগুরা জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার শহীদুল্লাহ দেওয়ান, তদন্ত বোর্ডের সদস্য ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রশিদুল ইসলাম ও যশোর সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ রেহেনেওয়াজ।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত কার্যক্রম ভিন্নখাতে নিতে তৎপর ছিলেন অভিযুক্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ লুৎফুন্নাহার। একটি অপ্রচলিত পত্রিকার কাটিং নথিভুক্ত দেখিয়ে তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত করার চেষ্টা চালান ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তদন্ত চলাকালীন স্টোর কিপার, কুকারের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। বিভিন্ন নথিপত্র ও ভুয়া বিল ভাউচারের নানা প্রশ্নের জবাবে তারা সঠিক উত্তর দিতে ব্যর্থ হন। এসময় তদন্ত কর্মকর্তাগণ তাদের ভৎসনা করেন।
তদন্ত বোর্ডের সভাপতি মাগুরার সিভিল সার্জন ডাক্তার শহীদুল্লাহ দেওয়ানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্তে বেশকিছু তথ্য উপাত্ত পেয়েছি। এগুলো আরো যাচাই বাছাই চলছে। তিনি বলেন আশা করছি সঠিক সিদ্ধান্ত আপনারা জানতে পারবেন।
খুলনা গেজেট/কেএম