যশোরের চৌগাছায় অবৈধভাবে ইউরিয়া ও ডিএপি সার মজুদ এবং বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২৪ বস্তা ডিএপি ও ১৫ বস্তা ইউরিয়া সার জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চৌগাছা শহরের উপজেলা সড়কের বিশ্বাস ট্রেডার্স ও আরমান এন্টার প্রাইজে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা এই জরিমানা আদায় ও সার জব্দ করেন। এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তার সাথে ছিলেন।
এর আগে পৌর এলাকার পাঁচনমনা গ্রামের চাষী মাসুদ রানা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে গিয়ে অভিযোগ করেন ওই দুই দোকানি তার কাছে ইউরিয়া সারের বস্তা ১২০০ টাকা করে দাম চেয়েছেন। যা সরকারি মূল্যে ১১০০ টাকা করে নেয়ার কথা। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে প্রথমে ওই দুই দোকানি বেশি দাম চাওয়া এবং বিক্রির কথা অস্বীকার করেন। এসময় তারা এর আগে বিক্রি করেছেন এমন ক্রেতাদের সাথে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোবাইলে কথা বললে তারাও ইউরিয়া সার ১২০০টাকা করে বস্তা নেয়ার অভিযোগ করেন। এরপর ওই দুই দোকানি নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেন।
আদালত পরিচালনাকালে দেখা যায়, বিশ্বাস ট্রেডার্সের সার বিক্রির কোন লাইসেন্স নেই। অথচ তিনি ইউরিয়া ও ডিএপি সার মজুদ রেখে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন। সার ও বীজ সংরক্ষণ আইন ২০০৬ এর আওতায় অবৈধভাবে সার মুজদ রেখে অতিরিক্ত দামে বিক্রির অপরাধে বিশ্বাস ট্রেডার্সের সত্বাধিকারীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং দোকানে থাকা ২৪ বস্তা ডিএপি ও ১৫ বস্তা ইউরিয়া সার জব্দ করা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করার অপরাধে আরমান এন্টার প্রাইজের সত্বাধিকারীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অপরাধে দুই দোকানিকে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অবৈধভাবে সার মজুদ করায় এক দোকানির কাছ থেকে ২৪ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে। যা ন্যায্য মূল্যে কৃষকের কাছে বিক্রি করে টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ বিএমএস