যশোরের চৌগাছা বাজারে বুধবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট ইরুফা সুলতানা। এসময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে ২৫ লাখ টাকার কারেন্ট জাল ও চাইনা রিং জাল রাখার অপরাধে মেসার্স সাহাজাহান এন্টারপ্রাইজ এবং জসিম এন্টারপ্রাইজকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে জব্দ করা হয় সমুদয় জাল। পরবর্তীতে ওই জাল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী মাশিলা, গদাধরপুর, লক্ষিপুর, তিলেতপুর, নায়ড়া-গয়ড়া, ইন্দেরপুরসহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে চোরাকারবারিরা রাতের আঁধারে ভারতীয় কারেন্ট জাল অবৈধভাবে আমদানি করছে। চোরাকারবারিদের সাথে চৌগাছা বাজারের কতিপয় ব্যবসায়ীদের যোগসাজস রয়েছে। গোপন সংবাদের তথ্য মতে কারেন্ট জাল আমদানি, গুদামজাত ও বিক্রির বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। এরই প্রেক্ষিতে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে বুধবার ১২ টায় বাজারস্থ্য বীজবাজার সংলগ্নে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা।
এ সময় মেসার্স সাহাজাহান এন্টারপ্রাইজ থেকে ২’শ ৯ কেজি ৬০০ গ্রাম নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চাইনা রিং জাল জব্দ করেন এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে মেসার্স জসিম এন্টারপ্রাইজ থেকে ২’শত ৮ কেজি ৮০০ গ্রাম নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চাইনা রিং জাল জব্দ করা হয়। কারেন্ট জাল বিক্রি ও গুদামজাতের অভিযোগে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড আদায় করেন ভ্রাম্যমান আদালত। উল্লেখিত কারেন্ট জালের বাজার দাম প্রায় ২৫ লাখ টাকা। অভিযান পরিচালনা শেষে বাজারস্থ্য খেলার মাঠে আগুন ধরিয়ে জব্দকৃত জালগুলো ধ্বংস করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইরুফা সুলতানা জানান, মেসার্স সাহাজাহান এন্টারপ্রাইজ ও জসিম এন্টারপ্রাইজে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। জব্দকৃত ২৫ লাখ টাকার নিষিদ্ধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি বলেন পরিবেশের জন্য এই জাল অত্যন্ত ক্ষতিকর। যারা এই ব্যবসা ও চোরাচালানের সাথে যুক্ত থাকবে তাদেন বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।