ঈদের পরে বিধি নিষেধের প্রথম দিন পার করছে সীমান্তবর্তী চৌগাছা উপজেলার মানুষ। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় এই কঠিন সিন্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর এর ধারাবাহিকতায় লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে চৌগাছা উপজেলা প্রশাসন। প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকলেও বিধিনিষেধ অমান্য করেও নানা অজুহাতে বাহিরে আসছেন এক শ্রেণীর মানুষ।
শুক্রবার সাপ্তাহিক বাজার থাকায় সকালে কিছুটা লোকজন দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে কমতে থাকে লোকের সংখ্যা। অনেকে আবার বাজারে লকডাউন কেমন হচ্ছে এ দেখার জন্য ভিড় জমাতে দেখা গেছে। অনেকে আবার মাস্ক বিহীন ঘুরাঘুরি করতে দেখা গেছে, আর এদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ছিলো উপজেলা প্রশাসন।
বেলা ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ এনামুল হকের নেতৃত্বে বাজারে নামে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় দোকান খুলে রাখায় চুরিপট্টির সুধির এ্যালোমেনিয়ামের মালিক ও সাবেক পূজা কমিটির সভাপতি নিমায় সরকার(৫৫) কে ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া মাস্ক বিহীন অহেতুক ঘোরাঘুরি করার অপরাধে দেবুলয়ের নুর আলম (২১) কে ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এসময় অবৈধ ভাবে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করার অপরাধে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে সর্তক করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ এনামুল হকে বলেন, লকডাউনের মধ্যে বিধিনিষেধ অমান্য করেও নানা অজুহাতে যারা বাহিরে আসছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় তিনি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে না আসারও অনুরোধ করেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই