যশোরের চৌগাছায় কঠোর লকডাউনের মধ্যেও বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীরা। লকডাউনে সকল প্রকার ইঞ্জিন চালিত যানবহনের চলাচল নিষেধ থাকলেও মানছেন না মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীরা। স্বাভাবিক ভাবেই বিশেষ প্রয়োজনে এক জন মোটরসাইকেল আরোহী স্বাস্থ্য বিধি মেনে মোটরসাইকেল ব্যবহার করার নিয়ম থাকলেও দুই জন অনেক সময় আবার তিন জন আরোহীকেও দেখা মিলছে একটি মোটর সাইকেলে। অনেকে আবার হেলমেট ও মাস্ক বিহীন চলাচল করতে দেখা গেছে, ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
শুক্রবার সকালে চৌগাছা বাজারে অভিযানে নামে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এ সময় লকডাউনের মধ্যে মোটরসাইকেল চালানোর দায়ে আড়াদহ গ্রামের সাজেদুর রহমানকে ৫০০ টাকা ও বলিদাপাড়ার হ্যাপি নাগ কে ৫০০ টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়।একই সাথে তাদেরকে কঠোর ভাবে সতর্ক করা হয়। এছাড়া গত মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে বিনা কারণে মোটরসাইকেলে বাজার ঘুরতে বের হওয়া তিন আরোহীকে ১৫শ’ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
লকডাউন সফল করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন চৌগাছা উপজেলা প্রশাসন। সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে মানুষ কোন না কোন অজুহাতে বাড়ির বাহিরে আসছেন, আড্ডা দিচ্ছেন বাজারের বিভিন্ন দোকান-পাটে। অনেকে আবার বাজারে আসছেন কেমন লকডাউন হচ্ছে তা দেখার জন্য। আর এই সকল মানুষদের ঘরে ফেরাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ।
চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ এনামুল হক ও চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সবুজের একান্ত চেষ্ঠায় পৌরসদরের চৌগাছা সরকারি কলেজের সামনে, মৃধাপাড়া মহিলা কলেজের সামনে, ইছাপুর মোড়ে ও কুঠিপাড়ার মোড়ে পুলিশ চেকপোষ্ট বসানো হয়। পুলিশ, আনছার সদস্য, গ্রামপুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় মানুষের চলাচল সীমিত করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ এনামুল হক জানান, করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতা সম্পর্কে আমরা মানুষকে বারবার সতর্ক করছি, তারা যেন অহেতুক বাজার মুখো না হয়। তারপরও মানুষ বাজারে আসছে দোকান খুলে ব্যবসা করছে। তারা যদি আইনকে এভাবে অমান্য করেন তাহলে প্রশাসন আরও কঠোর হতে বাধ্য হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই