যশোরের চৌগাছায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য চাঁদনী আক্তারের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় স্বামী স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই এজহারে তাঁদের বিরুদ্ধে ১৬ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগও করেছেন তিনি। মঙ্গলবার তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের নগরবর্ণি (গোপিনাথপুর) গ্রামের বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান (৪০) ও তার স্ত্রী রিফাত মনির লিজা (২৮)।
লিখিত অভিযোগে চাঁদনী আক্তার বলেন, একই এলাকায় বসবাস করার সুবাদের ওই দম্পত্তির সাথে তাঁর সখ্যতা গড়ে উঠে। সেই সূত্রে তাঁরা তার ফেসবুক আইডি খুলে দেন। তবে গোপনে তার ফেসবুকের জি-মেইল একাউন্ট ও পাসওয়ার্ড তাঁদের কাছে রেখে দেন। গত ১৭ আগস্ট তাঁদের দুজনের নিজ নামের ফেসবুক আইডি থেকে আমার ভিডিও কলের কথোপকথনের অসচেতন মুহুর্তের ভিডিও চিত্র গোপনে ধারণ করে অশালীন মন্তব্য প্রকাশসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক ও নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় সাংবাদিকসহ আমার পরিচিত মহলে ছড়িয়ে দেয়। লিখিত অভিযোগে তিনি আরও বলেন, আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চৌগাছা উপজেলা কমিটির সদস্য।
২০১৬ সালে আমি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছি। ভবিষ্যতেও নির্বাচন করবো। বিবাদীরা আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই কাজ করেছে। তার আরও অভিযোগ ভিডিও ছড়ানোর পরে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ ও ভয়েস ম্যাসেজের মাধ্যমে ১৬ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং হুমকি-ধামকি দেয়।
চৌগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম কিবরিয়া বলেন, ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে ভিডিও ধারণ ও অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। সে মামলায় মঙ্গলবার তাঁদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবারই (৩১আগস্ট) তাঁদের আদালতে পাঠানো হবে।
খুলনা গেজেট/কেএম