খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত
  সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
  টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ৪ জন নিহত
  শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম গ্রেপ্তার
  নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে নিহত ২

চৌগাছায় কপোতাক্ষ নদের ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ, চলাচল বন্ধ

চৌগাছা প্রতিনিধি

যশোরের চৌগাছার হাজরাখানা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা কপোতাক্ষ নদের ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো পারাপার অবশেষে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন স্থানীয়রা। উপজেলা প্রশাসন সাকোটি নির্মাণ করে চলে আসার পর আর কেউ কোন দিন খোঁজ নেয়নি। ফলে বাঁশ খুটি নষ্ট হয়ে নদের পানিতে পড়ে গেছে। চরম ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠায় সাকোয় উঠতে দুই পাশেই বাঁশ বেঁধে চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এতে করে দুর্ভোগ বেড়েছে স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের মানুষের।

স্থানীয়রা জানান, চৌগাছার পীর বলুহ দেওয়ান (র.) এর রওজা শরীফের পূর্বপাশে কপোতাক্ষ নদ। কপোতাক্ষ পাড়ের কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচলের স্বার্থে বহু বছর ধরে সেখানে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন জনৈক আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাঁকো পারাপার হওয়া লোকদের নিকট হতে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা গ্রহণ করতেন। সাঁকোতে কোন সমস্যা দেখা দিলে উত্তোলন করা টাকা দিয়ে তা মেরামত করতেন। কিন্তু একটি মহল ওই টাকা উত্তোলনকে চাঁদা আদায় আখ্যা দিয়ে প্রায় তিন বছর আগে তাকে সাঁকো ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করেন।

এক পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসন ও চৌগাছা থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ রিফাত খান রাজিবের প্রচেষ্টায় সেখানে পুনরায় একটি বাঁশ কাঠ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করা হয়। দিনের পর দিন রোদ শুকিয়ে আর বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হতে থাকে বাঁশ কাঠ। এক সময় সাকো পারপার ঝঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে।

বর্তমানে স্থানীয় হাজরাখানা, পেটভরা, নিয়ামতপুর, তালপট্টি, পাঁচনামনা গ্রামসহ আশপাশের মানুষ নদ পারাপারে চরম বিপাকে পড়েছেন। কপোতাক্ষ নদ খননের সময় নদে একটি বাঁধ দেন। এই বাঁধ দিয়ে নদ পাড়ের মানুষ বর্তমানে যাতায়াত করছেন। এখন বর্ষা মৌসুম প্রতি দিনই কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে এতে করে বাঁধের মাটি পিচ্ছিল হয়ে নদে পড়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে হাজরাখানা গ্রামের ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মিলন বলেন, নদের বুকে তৈরি করা বাঁধ দিয়ে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। বলুহ মেলা শেষে সাঁকোটি মেরামতের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হবে। তারা উদ্যোগ না নিলে নিজ অর্থায়নে এটি মেরামত করা হবে বলে তিনি জানান।

খুলনা গেজেট/এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!