যশোরের চৌগাছায় প্রায় অর্ধশত বছরের একটি পুরাতন রাস্তা বন্ধ করে মহল্লার ৯টি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বছরের পর বছর সড়কটি ব্যবহার করে আসলেও হঠাৎ করে তা বন্ধ করে দেয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন মহল্লাবাসি। রাস্তাটি চলাচল উপযোগী করতে ভুক্তভোগীরা সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
উপজেলার পাতিবিলা ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের শুকুর আলী নামের এক ব্যক্তি ৫০ বছর ধরে চলাচল করা গ্রামীন একটি কাঁচা সড়ক বন্ধ করে দিয়েছেন। এরফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় ৯টি পরিবারসহ গ্রামের সাধারণ মানুষ। এরই প্রেক্ষিতে সড়কটি খুলে দেয়ার জন্য গ্রামবাসি নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে নিয়ামতপুর গ্রামের মহর আলী, দুদু মিয়া, নেচার আলী, আবুল হোসেন, আসাদুল ইসলাম, লোকমান হোসেন, আলমগীর হোসেন, মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা ৯টি পরিবার নিয়ে গ্রামের ওই মহল্লায় বসবাস করি। অর্ধবছর ধরে আমাদের যাতায়াতের সড়কটি হঠাৎ করে একই গ্রামের শুকুর আলী বাঁশ খুটি দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। এরফলে আমাদের বাড়ি থেকে বের হতে চরম বেগ পেতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গ্রামীণ এই সড়কটির পশ্চিমপাশে একটি বিদ্যুৎ চালিত মোটর আছে। রাস্তার উপর আড়াআড়ি ভাবে বাঁশের মাচা বেঁধে রাখা আছে। মটরের পানি সড়ক বন্ধ করে তৈরী করা মাচার উপর দিয়ে পলিথিনের পাইপের মাধ্যমে পাশের জমিতে নেয়া হয়।
শুকুর আলী বলেন, সড়কের মাঝ দিয়ে লোকমানের জমির উপর দিয়ে মটরের পানি নেয়ার জন্য একটি ড্রেন ছিল। লোকমান সেটি পরিকল্পিত ভাবে বন্ধ করে দেয়ায় আমি বিকল্প পন্থায় জমিতে পানি নিতে এই ব্যবস্থা করেছি।
সংশ্লিষ্ঠ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মজনুর রহমান বলেন, চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে গেছে ঘটনাটি সত্য, মিমাংশার চেষ্টা করেছি, কিন্তু এখন ও কোন সমাধানে আসতে পারেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, গ্রামাবসির একটি অভিযোগের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেএম